বরিশাল প্রতিনিধি :
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার হোসানাবাদ এলাকায় হারুন মৃধা (৫৫) এক ব্যক্তিকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হারুন মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের সাহেবেরচর গ্রামের বিসাই মৃধার ছেলে এবং পেশায় খেয়া পাড়াপাড়ের মাঝি।
আজ সোমবার বিকালে হোসনাবাদ লঞ্চঘাট এলাকায় তালাকপ্রাপ্ত মেয়ের জামাই, শ্বশুড় ও দেবর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
অভিযুক্তরা হচ্ছে, মেয়ের তালাকপ্রাপ্ত জামাই মো: মাছুম, শ্বশুড় সিকিম আলী হাওলাদার ও দেবর নান্না হাওলাদার।
নাজিরপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বর মো. হান্নান বলেন, এক বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে মাছুমের সাথে নিহত হারুনের মেয়ে সুমাইয়ার বিয়ে সম্পন্ন হয়। এরপর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ লেগেই থাকতো। এ কারনে তিন মাস পূর্বে মাছুমকে তালাক দেয় সুমাইয়া।
আজ বিকালে মাছুমের দেয়া সকল মালামাল ফেরত দেয়ার নির্ধারিত দিন ছিল। ইতিমধ্যে নিহত হারুন খবর পান তার মেয়ে নানাবাড়ি গিয়েছে। সেখান থেকে আসার পথে সুমাইয়াকে অপহরন করবে তার তালাকপ্রাপ্ত স্বামী ও পরিবারের লোকজন। এরপর হারুন দ্রুত তার মেয়েকে নৌকাযোগে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। বিষয়টি অভিযুক্তরা জানতে পেরে হোসনাবাদ লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে হারুনের সাথে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর পিতাপুত্র মিলে হারুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বলে তাকে স্থানীয়রা অবহিত করেছে।
এ ব্যাপারে গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, হোসনাবাদ এলাকা থেকে হারুন মৃধার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশ শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হবে। কিভাবে হারুনের মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।