বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

ঝাল বেড়েছে মরিচের

ঝাল বেড়েছে মরিচের

নিউজ ডেস্ক:

পেঁয়াজ, ডিম, আলুর পর এবার রাজধানীর বাজারে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। সেই সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলার পাশাপাশি সব ধরনের সবজি।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও, শান্তিনগর এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। বৃষ্টি না থামলে দাম আরও বাড়তে পারে

বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা মরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫-২০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দামে ২৫০ গ্রামে বেড়েছে ২০ টাকা পর্যন্ত।

বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের এমন দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী ইউসুফ বলেন, গতকালও এক পোয়া কাঁচা মরিচ ১৫ টাকায় বিক্রি করেছি। আর আজ ৩০ টাকার নিচে বিক্রি করার উপায় নেই। বৃষ্টির কারণে মরিচের দাম বেড়েছে। বৃষ্টি না থামলে কাঁচা মরিচের দাম আরও বাড়তে পারে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরবরাহ বাড়লেও শীতের আগাম সবজি শিমের দাম গত সপ্তাহের মতো ১০০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা পিস। ৩০-৪০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি। মুলার কেজি বিক্রি ৩০-৪০ টাকা। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।

কয়েক মাস ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া পাকা টমেটো ও গাজরের দাম এখনো চড়া-ই রয়েছে। পাকা টমেটো আগের সপ্তাহের মতো প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকায়। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে গাজরের দাম কেজিতে ২০ টাকা কমেছে।

শীতের আগাম সবজির সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লাউ, করলা, ঝিঙে, বরবটি, বেগুন, পটল, ঢেঁড়শ, উসি, ধুনদলসহ সব ধরনের সবজি। গত সপ্তাহের মতো ছোট আকারের লাউ চলতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়।

করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বরবটি। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি। চিচিংগা, ঝিঙা, ধুনদলের কেজি ৫০-৭০ টাকার মধ্যে। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মিলন বলেন, শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বেড়েছে। আশা করছি শিগগির সবজির দাম কমে যাবে। তবে দুই দিন ধরে যে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। বৃষ্টি না থামলে সবজির দাম উল্টো বাড়তে পারে।

এদিকে দেশি পেঁয়াজের কেজি আগের সপ্তাহের মতো ১০০-১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা। গোল আলুর কেজি গত সপ্তাহের মতো ২৫-২৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৪০-৩০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া ১৩০-১৬০, পাঙাস ১২০-১৫০, শিং ৪০০-৬০০, কাচকি ২৫০-৩৫০, পাবদা ৪০০-৬০০, ট্যাংরা ৫৫০-৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি গরু ও মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৫৭০ টাকা, খাসি ৭৫০-৭৮০ টাকা। বয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০-১৫০ টাকায়। আর লাল লেয়ার আগের সপ্তাহের মতো ২০০-২২০ টাকা এবং পাকিস্তানি কক ২৫০-২৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech