বরিশাল প্রতিনিধি:
বরিশালে মহানগর বিএনপির ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় বরিশাল জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। এসময় তারেক রহমান বলেন, এখানে অনেক মানুষের থাকার কথা ছিলো, তারা হারিয়ে গেছে। তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই সরকার তাদের হত্যা করেছে। তা না হলে তাদের টেকা দায় হয়ে যেতো। এদেশকে যারা ভালোবাসে তারা আমার বক্তব্যের সাথে একমত। এখানে যারা রয়েছেন তাদের সকলের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা দেয়া হয়েছে। কেন দেয়া হয়েছে জানেন ? আপনারা মানুষের স্বাধীনতা চাচ্ছেন। পত্রিকা খুললেই দেখি ছাত্ররা আত্মহত্যা করছে। তারা আত্মহত্যা করছে কারণ তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ দেখছে না। টিসিবির গাড়ির পিছনে লাইন লম্বা হচ্ছে, আর অন্যদিকে জনগনের কোটি কোটি টাকা দিয়ে বিদেশ থেকে শিল্পী এনে তামাশা করছে সরকার। কোভিডের টিকা যেখানে বিদেশ থেকে বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে, সেখানে এই সরকার সেই টিকা কেনার কথা বলে ২৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এসবের সাক্ষী আপনারা। গত দুই/তিনদিন যাবৎ নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের মধ্যে যে ঝামেলা চলছে সেখানে নাহিদ মারা গেলো। তার বাবা বললো বিচার চাই না, বিচার এই দেশে নেই। বিচারের কি অবস্থা আপনারা দেখছেন। বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হচ্ছে। বিচারের বানী শোনা যায় না এখন, শোনা যায় নিশি রাতের মাফিয়া সরকারের বানী। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ৭১ এ এমন দেশের জন্য যুদ্ধ করেনি মুক্তিযোদ্ধারা। দেশের মানুষের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। মানুষ কথা বলতে পারছে না। বুয়েটে আবরারকে হত্যা করেছে নিশি রাতের সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী। আবরার কথা বলেছে সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ নিয়ে। বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ যারা নির্যাতিত তারা শহীদ জিয়ার সৈনিকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ভোট ছিনতাইকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করতে হবে। আমরা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। আইন ব্যবস্থা সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার পতন আন্দোলনে যেসব রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি বিএনপির সাথে থাকবে তাদের নিয়ে বিএনপি সবথেকে সুন্দর সরকার গঠন করবে। যারা এই নিশি রাতের সরকারকে ক্ষমতায় রাখার জন্য দালালী করছে তাদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। তাদের জাতীয় বেইমান হিসেবে আখ্যা দিতে হবে। আমাদের প্রত্যেকের ইস্পাতের মত শক্ত হতে হবে। বাংলাদেশে যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে। ইফতার মাহফিলে অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিণ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, মহানগর বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান ফারুখ, সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজীব আহসান, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ প্রমুখ।