পদ্মা সেতু উদ্বোধনের খবরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় উচ্ছ্বাস বইছে। দেশের সর্ববৃহৎ পদ্মা সেতু পার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর এই অঞ্চলের মানুষ। সেতুটি চালু হলে এই অঞ্চলে থেকে ঢাকায় যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে সময় বাঁচবে এবং আগামীতে শিল্পায়ন তরান্বিত হবে বলে প্রত্যাশা করেন ব্যবসায়ী নেতারা।
মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য বিগত সরকারের আমলে ৩০ মিনিট দক্ষিণাঞ্চল অচল কর্মসূচি পালন করেছিল এই অঞ্চলের সর্বস্তরের জনগণ। টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রথম মেয়াদে মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। টানা ৮ বছর নির্মাণ কাজ শেষে আগামী ২৫ জুন বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর দার উন্মোচন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, পদ্মা সেতু ঘিরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আমূল পরিবর্তন হবে। স্বল্প সময়ে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করা যাবে। এতে প্রচুর সময় সাশ্রয় হবে। উদ্যোক্তারা বরিশালে শিল্প কলকারখানায় বিনিয়োগ করবে। এতে এই অঞ্চল শিল্পে সমৃদ্ধ হবে। আগামী দিনে এই অঞ্চলের শ্রমিকদের আর কাজের সন্ধানে ঢাকা বা অন্যত্র যেতে হবে না।
বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ প্রফেসর শাহ সাজেদা বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের খবরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সর্বস্তরের মানুষ খুশী। এই সেতুর চালু হলে শুধু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল নয়, সারা দেশে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। স্বল্প ব্যয়ে মানুষ রাজধানীর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবে। সময়ও বাঁচবে। পদ্মা সেতুকে গর্বের ইতিহাস এবং গৌরবের ইতিহাস বলে মন্তব্য করেন তিনি।