ডেস্ক রিপোর্ট:
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আগামী সোমবারের ভারত-বাংলাদেশ বৈঠক হচ্ছে না। ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে দু’দিনের নদী সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে আজ শনিবার এ তথ্য জানা গেছে। তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
গুয়াহাটির এক হোটেলে শনিবার এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স আয়োজিত রিভার কনক্লেভ-২০২২ শুরু হয়েছে। প্রদীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সঙ্গে ছিলেন থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, ভারতে নিযুক্ত সিঙ্গাপুর ও কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূতসহ অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা।
জানা গেছে, যৌথ কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) প্রস্তাবিত বৈঠক হবে আগামী ১৮ জুন। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জানিয়েছেন, গুয়াহাটিতে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে বলেই এই মুহূর্তে বৈঠক জরুরি নয়। কিন্তু, বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, আরও সময় নিয়ে প্রস্তুত হয়ে তবেই আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেই বৈঠক পিছিয়ে গেছে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ভাষণে এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘নদী হল জীবন ও জীবিকার ক্ষেত্রে সংযোগের বড় মাধ্যম। অ্যাক্ট ইস্ট ও নেইবারহুড ফার্স্ট নীতির মাধ্যমে ভারত দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় সমঝোতার পরিবেশ সৃষ্টি করার উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ছয়টি রেলপথ ফের খোলা হবে। বাংলাদেশের নদীপথ ব্যবহার করে বাণিজ্যিক ও যাত্রী পরিবহণ বাড়ানোর চেষ্টাও চলছে।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘পুরনো দিনের মতো ভারতের সঙ্গে জলপথে যোগাযোগ তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ। ছেলেবেলায় মায়ের মুখে শুনেছি, কলকাতা থেকে সিলেটে মানুষ আসত নৌপথে। সেই দিন ফিরিয়ে আনতে চাই। রিভার শেয়ারিং এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই, যাতে দুই দেশই উপকৃত হয়।’