আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সীমান্তে সংঘর্ষে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্তত ৬০ সদস্য মারা গেছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। শনিবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সীমান্তে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৬০ সদস্য নিহত ও আরো অনেকে আহত হয়েছেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে ঢুকে পড়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমান। একই সঙ্গে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভারতীয় দুটি যুদ্ধবিমানে গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করে। পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ঢুকে ভারতীয় সেনাবাহিনী অভিযান চালানোর জেরে ওই সময় দুই দেশের সামরিক বাহিনী পাল্টাপাল্টি আকাশসীমা লঙ্ঘন করে।
শনিবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃসংযোগ অধিদফতরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেছেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সীমান্তে পাকিস্তান সেনাবাজিনীর সঙ্গে সংঘাতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৬০ সদস্য নিহত ও আরো অনেক সদস্য আহত হয়েছেন।
টুইটারে তিনি লিখেছেন, একই সঙ্গে এই সময়ে পাকিস্তানের ১৯ সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। ভারতের ৬০ সেনাসদস্যের প্রাণহানি ও অনেক আহতের পাশাপাশি ভারতীয় অনেক বাঙ্কার ধ্বংস করা হয়েছে।
‘ভারত তাদের আর্টিলারি অস্ত্রশস্ত্র সীমান্ত থেকে স্থানান্তরে বাধ্য হয়। পাক বিমান বাহিনী ভারতীয় বিমান বাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত করেছে। ভারতীয় নৌবাহিনীও নজরে ছিল।’
টুইটে পাক সেনাবাহিনীর শীর্ষ এই কর্মকর্তা ভারতের একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার কথাও উল্লেখ করেছেন; যেটি পরবর্তীতে ভারতীয় সেনাবাহিনী তদন্তের পর নিশ্চিত করেছে যে যুদ্ধের আবহে নিজেদের ভুলে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
বৃহস্পতিবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রণবীর সিংকে বহনকারী একটি সামরিক বিমান জম্মুর পুঞ্চ জেলায় আছড়ে পড়ে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি আছড়ে পড়লেও তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
শুক্রবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত পাক কাশ্মীর ও গিলগিট-বাল্টিস্তান অঞ্চলকে ‘অধিকৃত ভূখণ্ড’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। তার একদিন পর পাকিস্তানের এই সেনা কর্মকর্তা ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রাণহানির তথ্য প্রকাশ করলেন।