ডেস্ক রিপোর্ট :
শক্তির বিচারে বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থান অনেকটা নীচে। দুর্বলতম পাসপোর্টের বিচারে বাংলাদেশের অবস্থান নবম। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্সের’ করা ২০২২ সালের তৃতীয় সংস্করণের র্যাকিংয়ের তথ্য তেমনটাই বলছে।
আর বর্তমানে বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্টের দেশের শীর্ষে রয়েছে জাপান। তারপরেই দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুর। তৃতীয় অবস্থানে জার্মানি ও স্পেন। চারে ফিনল্যান্ড, ইতালি লুক্সেমবার্গ। পাঁচে আছে ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন।
দুর্বল পাসপোর্টের বিচারে শীর্ষে আছে আফগানিস্তান, তালিকায় দেশটির অবস্থান ১১২তম। দুইয়ে ইরাক, তিনে সিরিয়া, চারে পাকিস্তান আর পাঁচে ইয়েমেন।
আজ মঙ্গলবার ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট সূচক প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানটি। সেই সর্বশেষ সূচকে শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০৪তম। যৌথভাবে ১০৪তম অবস্থানে রয়েছে আরও দুটি দেশ, কসোভো ও গৃহযুদ্ধ কবলিত লিবিয়া।
বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচকে চলতি বছরের জানুয়ারিতেও কসোভো এবং লিবিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে ১০৩তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। ২০২১ সালের অক্টোবরে এই সূচকে ১০৮তম অবস্থানে থাকলেও জানুয়ারিতে ৫ ধাপ উন্নতি ঘটে বাংলাদেশের পাসপোর্টের। এর ফলে সেই সময় শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে ১০৩তম স্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ।
তিন মাসের ব্যবধানে সূচকে বাংলাদেশের আরও এক ধাপ অবনতি ঘটেছে গত এপ্রিলে। হ্যানলির চলতি বছরের তৃতীয় সংস্করণের বলছে, বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে বিশ্বের ২২৭টি গন্তব্যের মধ্যে বর্তমানে ৪১টিতে ভিসা ছাড়া কিংবা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করা যায়। এসব গন্তব্যের ১৬টি আফ্রিকায়, ১১টি ক্যারিবীয় অঞ্চলে, সাতটি ওশেনিয়ায় (অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড বাদে), ছয়টি এশিয়ায় এবং একটি দক্ষিণ আমেরিকায়।
বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে আগাম ভিসা ছাড়া ইউরোপের কোনও দেশে ভ্রমণ করা সম্ভব নয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপের পাসপোর্ট (৬৩তম)। মালদ্বীপের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই ৮৯টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন। এরপরই আছে ভারত (৮৭তম), ভুটান (৯৩তম) এবং শ্রীলঙ্কা (১০৩তম)।
দক্ষিণ এশিয়ায় পঞ্চম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। সূচক অনুযায়ী, এই অঞ্চলে নেপাল (১০৬তম), পাকিস্তানের (১০৯তম) চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।