ডেস্ক রিপোর্ট :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় মূলহোতাসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে আসামি ধরতে পুলিশ শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে চবির শাহ আমানত হলে অভিযান চালিয়েছে। তবে, কাউকে আটক করতে পারেনি তারা। পরে আজ শনিবার র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় মূলহোতাসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার চার জনের মধ্যে তিন জন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। এর মধ্যে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁরা হলেন—মেহেদী হাসান হৃদয় ও মুহাম্মদ আজিম হোসেন। তাঁদের কাছ থেকে ওই ছাত্রীর মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার রাত ৯টা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশন চত্বরে নানা কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামেন চবির বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
গত রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে হলের সামনে থেকে তাঁর এক বন্ধুসহ তুলে নিয়ে মারধর ও যৌন নির্যাতন করে মুঠোফোনে ভিডিও করা হয়। এ সময় তাঁদের মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এর প্রতিবাদে নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে চার দিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় চবি প্রশাসন পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এদিকে, চবি ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেলকে এ ঘটনায় তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।