দৈনিক ন্যূনতম মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণের ঘোষণায় আনন্দ মিছিল ও উল্লাস প্রকাশ করেছেন হবিগঞ্জের চা শ্রমিকেরা। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে শ্রমিকেরা নিজেদের বাগানে জড়ো হয়ে এ উল্লাস প্রকাশ করেন। মিছিলে মুখরিত হয়ে ওঠে বাগানগুলো। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তাঁরা।
তবে, শ্রমিকদের দাবি, যে ১৯ দিন তাঁরা আন্দোলন করেছেন, সেই দিনগুলোর মজুরি যেন তাঁদের দেওয়া হয়।
আজ সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আগামীকাল সোমবার থেকে শ্রমিকেরা কাজে যোগদান করবেন বলে জানিয়েছেন।
গতকাল শনিবার চা-বাগান মালিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলোচনার পর চা শ্রমিকদের দৈনিক ন্যূনতম মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বলা হয়, ন্যূনতম মজুরির সঙ্গে আনুপাতিক হারে বাড়বে অন্যান্য ভাতা।
শনিবার বিকেল ৪টার পর গণভবনে বৈঠক শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। এতে দেশের বৃহৎ ১৩টি চা-বাগানের মালিক উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
গত ৯ আগস্ট থেকে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন চা-শ্রমিকেরা। বিভিন্ন সময়ে আশ্বাস দেওয়া হলেও আন্দোলন অব্যাহত রাখেন তাঁরা। এ ছাড়া প্রশাসনের কর্মকর্তারা নানা আশ্বাস দিলেও কাজে ফেরেননি শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মধ্যে চা-বাগান মালিকেরা ২৫ টাকা মজুরি বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার প্রস্তাব দিলেও শ্রমিকেরা তা মেনে নেননি। ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরির দাবিতেই অনড় থাকেন তাঁরা। এর মধ্যেই গতকাল শনিবার নতুন মজুরি নির্ধারণ করে ঘোষণা আসে।