আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
করোনা সংক্রান্ত বেশ কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এবার ভ্রমণের ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করা হয়েছে। বুধবার (৩১ আগস্ট) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কিত নির্দেশনা দেওয়া হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ায় এখনও প্রতিদিন গড়ে এক লাখ মানুষ করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হচ্ছেন। এরপরও অধিকাংশ করোনা বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো ইয়ন সুক-ইওলের সরকার।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে কোরিয়াতে প্রবেশের আগে করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন হবে না। অর্থাৎ বাইরের কোনো দেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশের সময় করোনা পরীক্ষা করা লাগবে না।
তবে দেশটিতে পৌঁছানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। করোনা পরীক্ষা করে রেজাল্ট কিউ-কোড অথবা পাবলিক হেলথ অফিসের মাধ্যমে রিপোর্ট সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী লি কি-ইল বলেছেন, করোনার ধকল কাটিয়ে থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। কয়েকমাস ধরে সংক্রমণ অনেকটা কমে গেছে। আমরা বিশ্বাস করি ধীরে ধীরে আরও কমে আসবে। এদেশের নাগরিক কিংবা বিদেশি সবার সুবিধার্থে কোরিয়ায় প্রবেশের বিধি নিষেধ শিথিল করা হলো।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে গড়ে প্রায় দেড় লাখের বেশি করোনা সংক্রমিত হলেও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এ সংখ্যা এক লাখের মধ্যে রয়েছে।
কোরিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার (কেসিডিসি) জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৩৩ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৮৭৬ জন।
থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াসহ বেশ কয়েকটি ইতোমধ্যে দেশ ভ্রমণের আগে করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা শিথিল করেছে। গত এপ্রিল মাসে টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য কোরিয়ায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইনের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতাও শিথিল করা হয়।
করোনা মাহামরির মধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশ কোরিয়া ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হয়েছিল। তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাবাভিক হওয়ায় গত দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার শ্রমিক দক্ষিণ কোরিয়াতে প্রবেশ করেছে।