ডেস্ক রিপোর্ট :
রাত পোহালেই বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পরীক্ষায় বসছে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের ২১ লাখ পরীক্ষার্থী। এবার কমেছে প্রশ্নের মান ও পরীক্ষার সময়। ইতোমধ্যেই কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে সরঞ্জাম। আর প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড বলছে, প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ালে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
একদিকে করোনা, তারপর বন্যা। তাই নির্ধারিত সময়ের সাত মাস পর শুরু হচ্ছে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ পরীক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা বলেন, অনিশ্চয়তা থেকে আমরা নিস্তার পেয়েছি। তিন মাস সুযোগ পাওয়ায় আমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি মোটামুটি এখন ভালো আছে।
এবার সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে বাদ পড়ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ও ধর্ম বিষয়ের পরীক্ষা। ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট থাকবে বর্ণনামূলক অংশের জন্য সময়। বহু নির্বাচনী অংশের জন্য ২০ মিনিট। সকাল ১১ টা থেকে শুরু হবে পরীক্ষা।
এরইমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে উত্তরপত্র ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। বসানো হয়েছে সিট। ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে পরীক্ষার্থীদের রক্ষা করতে নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা।
আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক গীতাঞ্জলি বড়ুয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের সুস্থতা এবং সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য আমার স্কুল কর্তৃপক্ষের যাবতীয় প্রস্তুতি এখন শেষ ধাপে রয়েছে।
শতভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন জানিয়ে শিক্ষা বোর্ড বলছে, প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ালে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, আমাদের পরীক্ষার্থীরা কিন্তু ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে আমরা সেট কোড সম্পর্কে এসএমএস পাঠাই। এজন্য আমাদের প্রশ্নপত্র ফাঁসের আর এরকম কোনো সুযোগ থাকছে না।
এবার তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৫৯১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।