হারিকেন ইয়ানের আঘাতে ভেঙে পড়েছে কিউবার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। বৈদ্যুতিক গ্রিড বিপর্যয়ে অন্ধকারে ডুবে গেছে গোটা দেশ। এক ঘোষণায় এ বিষয়টি জানিয়েছে দেশটির সরকার। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে, প্রধান বিদ্যুৎকেন্দ্র গুলির একটিকেও চালু করা যায়নি। বিবিসির খবরে এ তথ্য জানান হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ভবনগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার কিউবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বৈদ্যুতিক শক্তি কর্তৃপক্ষের প্রধান ঘোষণা করেছেন যে, জাতীয় বৈদ্যুতিক সিস্টেম ভেঙে পরার ফলে দ্বীপ-ব্যাপী বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, যার ফলে ১১ মিলিয়ন মানুষ অন্ধকারে রয়েছে।
কিউবার ইলেকট্রিসিটি ইউনিয়নের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর লাজারো গুয়েরা বলেন, হারিকেন ইয়ান আঘাত হানার আগেই বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা জটিল পরিস্থিতিতে ছিল। এই মুহূর্তে দেশের কোথাও বিদ্যুৎ নেই। তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কাজ করছে ইউনিয়ন।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার একজন সাংবাদিক রিপোর্টে বলেছে, দেশের ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিক সার্কিট পরিষেবার বাইরে ছিল এবং অ্যান্টোনিও গুইতেরাস থার্মো-ইলেকট্রিক পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু করা যায়নি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, মঙ্গলবার ভোরে কিউবার পিনার দেল রিও প্রদেশে আঘাত হানে হারিকেন ইয়ান। এর আগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পুরো প্রদেশের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
পিনার দেল রিওর বাসিন্দা মায়েলিন সুয়ারেজ বলেছেন, সোমবার রাতে যখন ঝড় আঘাত হানে, তখন ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে অন্ধকার সময়।
সুয়ারেজ রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমাদের বাড়ির ছাদ প্রায় উড়ে গিয়েছিল। আমার মেয়ে, আমার স্বামী এবং আমি এটিকে একটি দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছিলাম যাতে এটি উড়ে না যায়।’
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূলে ধেয়ে যাচ্ছে শক্তিশালী হারিকেন ইয়ান। হারিকেনটি আজ বুধবার আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার।
সিএনএন জানায়, ইয়ান বর্তমানে ক্যাটাগরি-৩ হারিকেনে রূপ নিয়েছে। ইয়ানের জেরে ভারী বৃষ্টিপাতে ফ্লোরিডার বিভিন্ন এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া সংস্থা। সরিয়ে নিতে হতে পারে কয়েক লাখ বাসিন্দাকে।