ডেস্ক রিপোর্ট :
ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি কক্সবাজারে। ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ২০ বছরের বেশি বয়সীরা। গতকাল ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও আটজন মারা গেছেন। এটা চলতি বছর এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা।
গতকাল ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আহমেদুল কবির বলেন, ঢাকার পর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কক্সবাজারে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৩৬৮ জন। হাসপাতালে ভর্তির তিন দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৮ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ৩-৬ দিনের মধ্যে ১৮ জন, ৬-৯ দিনের মধ্যে ছয়জন এবং ৯-৩০ দিনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুবরণ করছেন ৪০-৫০ বছর বয়সীরা। ডেঙ্গুতে ঢাকার বাইরেই সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে। আর এতে নারীদের মৃত্যুহার পুরুষের তুলনায় বেশি। আর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার তিন দিনের মধ্যে ডেঙ্গুতে মারা যাচ্ছে আক্রান্তরা। ঢাকার বাইরে জেলার মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা কক্সবাজারে বেশি। রাজধানী মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপস্থাপনায় বলা হয়, ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২২ হাজার ৫১৭ জন। যা গত বছর ছিল ২৮ হাজার ৪২৯ জন, ২০২০ সালে ছিল ১৪০৫ জন। তবে সবচেয়ে বেশি ছিল ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন।
ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় চলতি বছরের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার ৭৬২ জন। ঢাকার বাইরে ৫ হাজার ৭৭৫ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪৭ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৪১৫ জন। ঢাকার বাইরে ২৩২ জন। ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু নারীর ৪৬ জন, পুরুষ ২৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, ২০১৯ সালে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৭৯, ২০২০-এ মৃত্যু হয় সাতজনের। আর ২০২১ সালে মৃত্যু হয় ১০৫ জনের। সর্বশেষ ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনের। গতকাল ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। যা চলতি বছর এক দিনে সর্বোচ্চ। এ সময় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৬৫ জন। এ নিয়ে সারা দেশে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৬৯৫ জনে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৭৬৫ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪৯৭ জন এবং ঢাকার বাইরের ২৬৮ জন। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ২৩ হাজার ২৮২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২০ হাজার ৫০৪ জন। এ বছর ডেঙ্গুতে মোট ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে