ইন্দুরকানীতে বুলবুল ঘুর্ণিঝড়ের আঘাতে রাস্তায় পড়ে থাকা গাছগুলো হরিলুট। ১৫দিনে অতিক্রম হলেও গাছগুলো এখনও পড়ে আছে রাস্তার আসে পাশে। স্থানীয় লোকজনের পছন্দ অনুযায়ী কেটে নিয়ে যায়। কর্তপক্ষের উদারসিনতা কারণে এই গাছগুলো হরিলুট হচ্ছে। সরেজমিনে গেলে জানা যায়, ঘুর্নিঝড়ের পরদিন এলাকার লোকজন পড়ে থাকা বিভিন্ন রাস্তার গাছগুলো কেটে রাস্তা পরিস্কার করে রাখেন। তারপর স্থানীয় প্রভাবশালী ছত্রছায়ায় এগাছ উধাও হয়ে যাচ্ছে। ভয়ে কেউ কথা বলতে পারছে না। প্রতিবাদ করলে হুমকি ধামকি দেয়। স্থানীয় লোকেরা জানান, রামচন্দ্রপুর গ্রামের রাস্তার গাছ রাজিব খান খোকা শিকদার, মিজান শিকদার, পত্তাশী কেয়ার রাস্তার সৈয়দ, আল আমিন ,টুকু কে ভ্যান গাড়ীতে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
এ ছাড়া বালিপাড়া, পাড়েরহাট বাগোলেরহাট,কালাইয়া ,চন্ডিপুর সহ উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় ঘুর্ণিঝড়ের আঘাতে পড়ে যাওয়া গাছগুলো নিয়ে যায়। পত্তাশী এলাকার জাহাঙ্গীর কাজি জানায়,ঘুর্ণিজড়ে বুলবুলে আঘাতে পড়ে থাকা সামাজিক বন বিভাগের গাছ গুলো স্থানীয় চেয়ারম্যানের অজুহাত দিয়ে বিভিন্ন লোকে নিয়ে যায়। উপজেলার চাড়াখালী হইতে বলেশ্বরখাল ও পত্তাশী বটতলা হইতে কাজি পাড়া পর্যন্ত রাস্তার কার্পেটিং কাজ শুরু হলে রাস্তার দু-পাশের অধিকাংশ গাছগুলো স্থানীয় লোকজনেরা কেটে নিয়ে যায়।এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালেও তেমন কোন ভুমিকা দেখা যায় নাই।
এব্যাপারে ইন্দুরকানী বন বিভাগের দায়িত্ব থাকা অনুপ কুমার এর মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, আমার নাম ভাঙ্গিয়ে যারা গাছ নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মাদ আল মুজাহিদ জানান,ঘুর্নিঝড়ে রাস্তায় পরে যাওয়া গাছগুলো সংরক্ষনের জন্য বন বিভাগকে জানানো হয়েছে। যদি কেউ সরকারি গাছ কেটে নিয়ে যায় তাহলে তা উদ্ধারের জন্য আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।