পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দেশটির ওয়াজিরাবাদ পুলিশ আল জাজিরাকে তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার ওয়াজিরাবাদের আল্লাহ ওয়াল্লা চকে লংমার্চে দুই হামলাকারী ইমরান খানকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। এ সময় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর গুলিতে এক হামলাকারী নিহত হন।
গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তান পুলিশের কাছে দেওয়া এক বিবৃতিতে হামলাকারী বলেছেন, তিনি (ইমরান খান) লোকজনকে ভুল বোঝাচ্ছিলেন। যে কারণে তিনি ইমরান খানকে হত্যার চেষ্টা করেছেন।
সৈয়দ তালাত হোসেন নামে এক সাংবাদিক তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে ওই হামলাকারীর বক্তব্যের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে বলতে শোনা যায়, একজন জিজ্ঞেস করছেন, ‘তুমি এই কাজ কেনো করেছ?’ তখন ওই হামলাকারী বলেন, ‘ইমরান খান এইসব লোকদের ভুল বোঝাচ্ছিলেন। আমি এগুলো সহ্য করতে পারছিলাম না। যে কারণে তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম। তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেছি।’
অপর এক প্রশ্নে ওই যুবক বলেন, ‘আমি ইমরান খানকে হত্যার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছি। আমি কেবল ইমরান খানকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম। এ ছাড়া আমার আর কাউকে হত্যার উদ্দেশ ছিল না।’
হামলাকারী ওই যুবক আরও বলেছেন, ইমরান খান লাহোর ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে হত্যার পরিকল্পনা করছিলেন তিনি।
এই হামলায় আর কোনো সহযোগী আছে কি না জানতে চাইলে গ্রেপ্তার যুবক বলেন, ‘আমার সঙ্গে আর কেউ ছিল না। আমি একাই ছিলাম।’
আজ বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলে একটি মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় ইমরান খানের গাড়িবহরে গুলির ঘটনা ঘটে। এসময় ইমরানের পায়ে গুলি লাগে। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ইমরান খানের ওপর গুলির ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভী। এক টুইটে এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। এ ঘটনাকে তিনি ‘ঘৃণ্য হত্যাচেষ্টা’ বলে মন্তব্য করে লিখেছেন, ‘সাহসী ইমরান খানের ওপর ঘৃণ্য হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে। আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি আশঙ্কামুক্ত আছেন। তবে তাঁর পায়ে কয়েকটি গুলি লেগেছে। আশা করি, সেগুলো গুরুতর নয়।’