পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে যখন হামলাকারী গুলি করতে যায়, তখন তাকে আটকে ধরে ইবতিসাম নামে এক যুবক। হামলাকারীর বক্তব্য অনুযায়ী, ইমরান খানকে হত্যার ‘সর্বোচ্চ চেষ্টা’ করেছে সে। সে হিসেবে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছেন ইবতিসাম। জিও টিভিতে ওই ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে ‘আওয়ার হিরো’ অর্থাৎ ‘আমাদের নায়ক’ হ্যাশট্যাগে তার নাম উচ্চারিত হচ্ছে। প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
পাকিস্তানের উজিরাবাদে ইমরান খানের ওপর যখন হামলাকারী গুলি হামলা চালানোর চেষ্টা করেন, তখন ইবতিসাম তার পিছনেই ছিলেন।
সিসিটিভি ক্যামেরায় হামলার একটি ছবিতে দেখা যায়, হামলাকারীর বন্দুক ধরা হাতটি টেনে ধরেছেন ইবতিসাম। আর হামলাকারীর বন্দুক ওপরের দিকে তাক করা।
পরে সৈয়দ তালাত হোসেন নামে এক সাংবাদিক তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে ওই ইবতিসামের বক্তব্যের একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে বলতে শোনা যায়, তিনি দেখতে পেলেন তার সামনে থাকা লোকটি একটি বন্দুক বের করে গুলি ছুড়েছিল এবং সঙ্গে সঙ্গে তিনি তাকে ধরে ফেলেন ও ধাক্কা দেন। এরই মধ্যে তার তিনটি গুলি আবার মাটিতে বিদ্ধ হলেও ধাক্কাধাক্কি চলতে থাকে।
একটি টিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, তাকে কাঁধে করে বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ইমরান সমর্থকেরা। তাঁর ছবির নিচেও হ্যাশট্যাগ দিয়ে ‘আওয়ার হিরো’ অর্থাৎ ‘আমাদের নায়ক’ লিখেও পোস্ট করেছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইমরান সমর্থকেরা।
গুলি তো তাঁর (ইবতিসাম) গায়েও লাগতে পারত— এমন প্রশ্নের উত্তরে ইবতিসাম বলেন, ‘ইমরান খানের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছি এবং আমরা সব সময় তার পক্ষে দাঁড়াব।’
এদিকে ইমরান খানকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো অজ্ঞাত এক বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
গ্রেপ্তারের পর এক ভিডিওতে পাকিস্তান পুলিশের কাছে দেওয়া এক বিবৃতিতে হামলাকারী জানায়, ‘ইমরান খান লোকজনকে ভুল বোঝাচ্ছিলেন। যে কারণে তিনি ইমরান খানকে হত্যার চেষ্টা করেছেন।’
ওই ভিডিওতে একজন জিজ্ঞেস করছেন, ‘তুমি এই কাজ কেনো করেছ?’ তখন ওই হামলাকারী বলেন, ‘ইমরান খান এইসব লোকদের ভুল বোঝাচ্ছিলেন। আমি এগুলো সহ্য করতে পারছিলাম না। যে কারণে তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম। তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেছি।’
অপর এক প্রশ্নে ওই যুবক বলেন, ‘আমি ইমরান খানকে হত্যার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছি। আমি কেবল ইমরান খানকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম। এ ছাড়া আমার আর কাউকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল না।’
হামলাকারী ওই যুবক আরও বলেছেন, ‘ইমরান খান লাহোর ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে হত্যার পরিকল্পনা করছিলেন তিনি।’