ইউক্রেনীয় সামরিক কমান্ডার-ইন-চিফ ভ্যালেরি জালুঝনি বলেছেন, খেরসন শহর থেকে রাশিয়ার সেনাদের প্রত্যাহারের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত কিংবা অস্বীকার করতে পারছেন না। তবে তিনি বলেছেন, রুশ সেনাদের খেরসন থেকে পালানো ছাড়া উপায় ছিল না। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
বুধবার রুশ সেনাদের খেরসনের পশ্চিম তীর থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। সেপ্টেম্বরে যে চারটি ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে ঘোষণা করে খেরসন সেগুলোর একটি।
ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার দখল করা একমাত্র প্রাদেশিক রাজধানী ও বৃহত্তম ভূখণ্ড হলো খেরসন। খেরসন প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী হলো খেরসন শহর। ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে খেরসন শহরের অবস্থান দুই দেশের কাছে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
এই ঘোষণার পর দিন বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরের খেরসন শহর থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, রুশ সেনারা নদীর পূর্ব তীরে অবস্থান নিচ্ছে। অবশ্য এই ঘোষণার প্রমাণ হিসেবে সেনাদের চলে যাওয়ার কোনও ছবি প্রকাশ করেনি রাশিয়া।
ইউক্রেনীয় জেনারেল টেলিগ্রামে বলেছেন, তার বাহিনীর সদস্যদের হামলার ফলে খেরসন থেকে রুশ সেনাদের পালিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। ইউক্রেনীয় সেনারা রাশিয়ার দখল করা ১ হাজার ৩৮১ বর্গ কিলোমিটার ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করেছে।
তিনি দাবি করেছেন, ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা শত্রুদের সাপ্লাই লাইন ধ্বংস করে দিয়েছে এবং পরিকল্পনা অনুসারে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যাবে।