বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান থাকলেও তার বিচার হয়নি বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে রোববার এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আইন সমিতি।
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার একাংশের বিচার হয়েছে। যারা প্রত্যক্ষভাবে হত্যায় অংশগ্রহণ করেছিল শুধু তাদের বিচার করা হয়েছে। যারা হত্যার পেছনে থেকে মদদ দিয়েছিল তাদের কোনো বিচার হয়নি। যেমন ঢাকার এয়ারপোর্টে স্বর্ণ চোরাচালানে যারা স্বর্ণ বহন করে শুধু তাদের আটক করা হয়। কিন্তু যারা দুবাই বসে ব্যবসা করে তাদের ধরা হয় না। আমরা এখানে দাবি করি অচিরেই ট্রুথ কমিশন গঠন করে ঘটনার নেপথ্যে (বঙ্গবন্ধু হত্যা) যারা আছে তাদেরও বিচার করতে হবে।’
জিয়াউর রহমানকে ট্রুথ কমিশন গঠনের মাধ্যমে মরণোত্তর বিচারের আওতায় আনা উচিত বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
খুনিদের বিচার ঠেকাতে জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি আইন করেছিলেন উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি তারা জিয়াউর রহমানের দায় থাকার কথা স্বীকার করেছেন।’
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মো মাহবুব আলী, বিচারপতি একেএম শাহিদুল হক, বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।