বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

গাইবান্ধায় লিটন এমপি হত্যা মামলায় সাত জনের ফাঁসির আদেশ

গাইবান্ধায় লিটন এমপি হত্যা মামলায় সাত জনের ফাঁসির আদেশ

এস কে রাশেদ গাইবান্ধা:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি আব্দুল কাদের খানসহ ৭ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত

আজ ২৮ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিকের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস পলাতক রয়েছেন। তিনি পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে আছেন। তাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
আলোচিত সংসদ সদস্য লিটর হত্যার রায়ে আদালত জানান, প্রধান আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য কাদের খান হত্যাকাণ্ড পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে। কাদের খানসহ বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সন্দোতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান আদালত।
আসামিদের মধ্যে শুধু সুমন কসাই জেলা কারাগারে থাকা অবস্থায় মারা যাওয়ায় তাকে এই রায়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এ রায়ে সন্তুষ্টি জানিয়েছেন নিহত এমপি লিটনের স্ত্রী।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ (মাস্টারপাড়া) এলাকায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে ১ জানুয়ারি সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরপর ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বিকালে বগুড়া জেলা শহরে কাদের খাঁনের পরিচালিত গরীব শাহ ক্লিনিক থেকে তাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
পরের দিন ২২ ফেব্রুয়ারি লিটন হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। রিমান্ডের চতুর্থ দিনের মাথায় কাদের খান আদালতে ১৬৪ ধারায় লিটন হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এরপর থেকে কাদের খান গাইবান্ধা কারাগারে আছেন।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech