হাইকোর্টের সামনে পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার মামলায় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনসহ ছয়জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
অপর পাচঁজন হলেন- অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর, অ্যাডভোকেট তৌহিদ, ফিরোজ কিবরিয়া,মোস্তাফিজুর রহমান ও রিয়াজ।
শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি এ আদেশ দেন।
এদিন ছয়জনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মোস্তাফিজুরের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন। অন্যদিকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপর আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। মোস্তাফিজুরের রিমান্ড বাতিল ও এবং অন্য পাঁচজনের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবী।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক মোস্তাফিজুর রহমানের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে চার কার্যদিবসের মধ্যে দুদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। অন্যদের জামিন শুনানির জন্য রোববার (১ ডিসেম্বর) দিন ধার্য করেন।
দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে কর্মসূচি পালন করে বের হওয়ার সময় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বিএম মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট আলম এবং অ্যাডভোকেট তৌহিদকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া অন্য তিনজনকেও পুলিশ গ্রেফতার করে।
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতাকর্মীরা গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের শিকার হয়।
ওই ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দেয়া, অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ এনে শাহবাগ থানায় মামলা করে পুলিশ। ১৫-২০ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০০ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
ওই মামলা দায়ের হওয়ার পর বুধবার ভোর রাতে গ্রেফতার হন মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত।
বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে আটক হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের অফিস স্টাফ মঞ্জু ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের স্টাফ ফারুক। ওই দিন সকালে সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেট থেকে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে আটক করে পুলিশ। পরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদকেও আটক করা হয়। আটকের কয়েক ঘণ্টা পরই অবশ্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ তিনজনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
এছাড়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ চার নেতা ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।