বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক :
সোলার ফ্লেয়ার বা সৌর তরঙ্গ বিচ্ছুরণরত সূর্যের বিরল একটি ছবি প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সংস্থাটির ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে ছবিটি প্রকাশ করেছে। ছবিটির ক্যাপশনে নাসা সূর্যকে আখ্যা দিয়েছে ‘হলুদ বামন’ বা ‘ইয়েলো ডোয়ার্ফ’ হিসেবে।
সূর্যের ছবির ওই ক্যাপশনে নাসা হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছে, ‘যে তারা রয়েছে বলেই এসব সম্ভব হয়েছে। সেই সূর্য থেকে ১৫ লাখ কোটি কিলোমিটার দূরের পৃথিবী নতুন কক্ষপথে প্রবেশ করেছে। সেই পৃথিবী থেকে হ্যাপি নিউ ইয়ার।’
ক্যাপশনে নাসা আরও লিখেছে, ‘মহাজাগতিকভাবে মধ্যবয়সী এবং একটি হলুদ বামন শ্রেণির সূর্যের গতিশীল এবং সদা পরিবর্তনশীল প্রকৃতি ক্রমাগত সৌরজগতে শক্তি প্রেরণ করে।
নাসা আরও লিখেছে, ‘একঝাঁক মহাকাশ যান সবসময়ই সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করে চলেছে, যা পদার্থবিজ্ঞানের সূর্য সংক্রান্ত শাখা হেলিওফিজিক্সের নতুন নতুন জ্ঞান যুক্ত করে চলেছে। এমন একটি পর্যবেক্ষক মহাকাশযান সোলার ডাইনামিক অবজারভেটরি (এসডিও) থেকেই এই ছবিটি তোলা হয়েছে।’
এর আগে, হাবল টেলিস্কোপ পৃথিবী থেকে ২১ কোটি আলোকবর্ষ দূরের একটি সর্পিল ছায়াপথের ছবি তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মহাকাশ সংশ্লিষ্ট অনলাইন সংবাদমাধ্যম স্পেস ডট কমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবী থেকে ২১ দশমিক ৪ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত সর্পিলাকার ওই ছায়াপথটির নাম এনজিসি ৬৯৬৫।
বিজ্ঞানীরা এই সর্পিল ছায়াপথকে ‘বারড গ্যালাক্সির’ নিখুঁত উদাহরণ বলে উল্লেখে করেছেন। বারড গ্যালাক্সি হলো এমন এক ধরনের সর্পিল ছায়পথ, যার কেন্দ্র একটি দণ্ডের মতো আকার ধারণ করে। মহাবিশ্বের ৭০ শতাংশ ছায়াপথে এবার বা দণ্ডের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়। কেন্দ্রের দণ্ডাকৃতির গঠনের কারণেই এ ধরনের ছায়াপথের নামকরণ করা হয় ‘বারড গ্যালাক্সি’। এসব ছায়াপথের কেন্দ্রস্থল সাধারণত বেশ সক্রিয় হয়ে থাকে।