বরিশাল নগরীতে রাস্তা ছেড়ে চায়ের দোকানে উঠে গেছে যাত্রীবাহি বাস। এতে ভাগ্যক্রমে বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও দোকানী গুরুতর আহত হয়েছে। চায়ের কেটলির গরম পানিতে ঝলসে গেছে তার শরীরের কিছু অংশ।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে বরিশাল নগরীর নতুন বাজার এলাকায় বানারীপাড়া বাস টার্মিনালের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা দুর্ঘটনা কবলিত ও বাসটির সামনের গ্লাস ভাংচুর করে। তবে পালিয়ে যায় বাসটি চালনা করা হেলপার।
প্রত্যক্ষদর্শী নতুন বাজারের ব্যবসায়ীরা জানায়, ‘বানারীপাড়াগামী আল মক্কা নামের একটি বাস নতুনবাজার বাস টার্মিনাল থেকে বের হচ্ছিলো। এসময় বাসটি চালাচ্ছিলো চালকের সহকারী (হেলপার)। দ্রুত গতিতে টার্মিনাল ভবন থেকে বের হওয়ার সময় চালক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সামনে থাকা চন্দ্রদ্বীপ টি- স্টোরে উঠিয়ে দেয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার এসআই আরাফাত রহমান হাসান বলেন, ‘ঘটনার সময় চায়ের দোকানে অন্য কেউ ছিলো না। যে কারনে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে বাসের ধাক্কায় দোকানে থাকা চায়ের কেটলি’র গরম পানি দোকান মালিক অশোক মালীর গায়ে পড়ে। এতে তার পায়ের কিছু অংশ ঝলসে গেছে।
এসআই আরাফাত হাসান বলেন, ‘ঘটনার পর পরই বাসটি আটক করা হয়। কিন্তু আহত ব্যক্তি এই ঘটনায় কোন মামলা করতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন। তাই বাসটি বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। তাছাড়া আহত ব্যক্তিকে বাস মালিকের পক্ষ থেকে চিকিৎসা খরচ দেয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে।
এদিকে অভিযোগ পাওয়া গেছে, ‘দুর্ঘটনার পরে বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে ঘটনাস্থলে এসে আহত এবং প্রতিবাদকারীদের হুমকি ধামকি দেয়। এর ফলে দুর্ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ দিতে সাহস পায়নি। তবে যে আহত হয়েছে তাকে ক্ষতিপুরন দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে মালিক সমিতির ওই নেতা।
স্থানীয়রা আরও বলেন, ‘যেই বাসটি দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছে সেটার কোন ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন নেই। তার মধ্যে চালকের পরিবর্তে হেলপার দিয়ে বাসটি চালনা করা হচ্ছিলো। পুলিশ এসব কিছু জেনেও তারা বাস বা বাস মালিকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে মালিক পক্ষের সাথে সমঝোতা করে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এছাড়া নগরীর মূল পয়েন্টে এই ধরণের বাস টার্মিনাল থাকায় প্রতিনিয়ত সমস্যা ও ভোগান্তির কথাও জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।