অনেক জল্পনা-কল্পনা শেষে ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।
জার্মান সরকারের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, প্রথম চালানে জার্মানি তার নিজস্ব স্টক থেকে ১৪টি লেপার্ড টু ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠাবে।
এর আগে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানোর ঘোষণা দেন বলে জানান ফেডারেল সরকারের মুখপাত্র স্টেফেন হেবেস্ট্রেট।
এদিকে, মার্কিন ২ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন অন্তত ৩০টি এম ওয়ান আব্রামস ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। চলতি সপ্তাহের যেকোনো সময় এ ঘোষণা আসতে পারে।
এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২ কর্মকর্তার একজন জানান, ট্যাংকের পাশাপাশি ইউক্রেনে কিছু উদ্ধারকারী যান পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে কবে এসব সরঞ্জাম সরবরাহ শুরু হবে তা অনিশ্চিত বলে জানান তারা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক জার্মানির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানোর প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী আসছে “ট্যাংক জোট”। আমাদের প্রচুর লেপার্ড টু ট্যাংক দরকার।’
তবে এসবের প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনে আব্রামস ট্যাংক পাঠায়, তাহলে অন্য সবকিছুর মতো সেগুলোও পুড়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এতে শুধু তাদের খরচই বাড়বে এবং এসবের দায়ভার প্রাথমিকভাবে ইউরোপীয় করদাতাদের কাঁধেই চাপবে।’