তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সয়লু ক্ষয়ক্ষতির হালনাগাত তথ্য জানাতে গিয়ে বলেছেন, এ মাসের শুরুতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৩৯ হাজার ৬৭২ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। জাতিসংঘ জানিয়েছে ওই ভূমিকম্পে সিরিয়ায় মারা গেছে ৫ হাজার ৮০০’র বেশি মানুষ। এই হিসাব অনুসারে ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মোট ৪৫ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন।
তবে এখনও উদ্ধার অভিযানে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে মৃতদেহ বের হয়ে আসছে। আধুনিক তুরস্কের ইতিহাসে ৭.৮ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ।
তুরস্কের কাহরামানমারাস এলাকায় ধ্বংসস্তূপের নিচে ২৫৮ ঘণ্টা আটকে থাকার পর নেসলিহান কিলিচ নামে একজন নারীকে গতকাল শুক্রবার উদ্ধার করা হয়।
এ ছাড়া আন্তাকিয়া শহরে একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে ওসমান নামে ১২ বছরের এক শিশুকে জীবিত অবস্থায় ১৭টি মৃতদেহের সঙ্গে উদ্ধার করে আনে উদ্ধারকর্মীরা।
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় জানান, কমপক্ষে ২০০টি এলাকায় এখনও উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
অন্যদিকে, জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১৪৩ টি ট্রাক জরুরি ত্রাণ নিয়ে তুরস্ক থেকে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশ করেছে।