ভালো ভবিষ্যতের আশায় প্রতিবছরই ইউরোপের দেশগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছে অভিবাসন প্রত্যাশীরা। দিনকে দিন এই সংখ্যা বেড়েই চলছে। শুধুমাত্র গত বছরে, অর্থাৎ ২০২২ সালে প্রায় ১০ লাখ অভিবাসন প্রত্যাশীর আবেদন পড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ)। এ তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের নামও। এই আবেদনের সংখ্যা বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলামের (ইইউএএ) বরাতে আজ বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলে।
ইইউএএর প্রতিবেদনে অনুযায়ী, গত বছরে অভিবাসন প্রত্যাশীদের আবেদন পড়েছে নয় লাখ ৬৬ হাজার, যা ২০১৬ সালের পর সর্বোচ্চ। ২০২১ সালের তুলনায় গত বছরে ৫০ শতাংশ আবেদন বেশি পড়েছে।
অভিবাসন প্রত্যাশীদের আবেদনের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে সিরিয়া ও আফগানিস্তান। দেশ দুটি থেকে আবেদন পড়েছে এক লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি। ২০২১ সালে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় যাওয়ার পর শুধুমাত্র দেশটি থেকে অভিবাসন প্রত্যাশীদের আবেদন পড়েছিল এক লাখ ২৯ হাজার।
ইইউএএর তথ্যানুযায়ী, ইইউভুক্ত না হলেও নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডেও আবেদন কম পড়েনি। এমনকি, টার্কস দ্বীপে আবেদন পড়েছে ৫৫ হাজার।
ডয়েচে ভেলে বলছে, ভেনিজুয়েলা, কলম্বিয়া, বাংলাদেশ ও জর্জিয়া থেকে তাদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ আবেদন পড়েছে। এ ছাড়া মরোক্কো, তিউনিশিয়া ও মিশর থেকে আবেদন কম পড়েনি। প্রায় চার শতাংশ অভিবাসন প্রত্যাশী নিজেদেরকে অবিবাহিত নাবালক বলে দাবি করেছে।
অভিবাসন প্রত্যাশীদের আবেদন বাড়া নিয়ে ইইউ বলছে, মহামারির বিধিনিষেধ শিথিল, বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা ও সংঘাতের কারণে আবেদন বেড়েছে।
২০১৬ সালে ১২ লাখ ৫১ হাজার ৮১৫টি অভিবাসন প্রত্যাশীর আবেদন পড়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটি ছিল সর্বোচ্চ। সেই অনুযায়ী ২০২২ সালের আবেদন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দ্বিতীয়।
জার্মানির গণমাধ্যমটি আরও বলছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে স্থানান্তর হয়েছে ৭০ লাখ লোক। এ ছাড়া দেশের মধ্যেই স্থানান্তর হয়েছে কয়েক লাখ ইউক্রেনীয়।