ইতালির পূর্ব উপকূলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের জাহাডুবির ঘটনায় নিহত বেড়ে ৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। ইতালির স্থানীয় রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে বৈরি আবহাওয়ায় পাহাড়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দেশটির উপকূলে ছোট কাঠের নৌকাটি ডুবে যায়। ইতালি সরকারের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
সাম্প্রতিক সময়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের উদ্ধার করা মানবাধিকার সংগঠনগুলো নিয়ে কঠোর হচ্ছে ইতালি সরকার। যার সমালোচনা করছে জাতিসংঘসহ অন্যান্যরা। এরই মধ্যে ইতালির উপকূলে অভিবাসন প্রত্যোশীদের নৌযান ডুবির ঘটনা ঘটল। এর ফলে ইউরোপ ও ইতালির অভিবাসন নীতি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
রয়টার্স জানায়, ইতালির পূর্বাঞ্চলীয় ক্যালাব্রিয়ার উপকূলে এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। অঞ্চলটির স্থানীয় সরকারের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা ম্যানুয়েলা কুরা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৫৮ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৮১ জনকে। এর মধ্যে ২০জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যার মধ্যে একজন আইসিউতে রয়েছে।’
বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও জরুরি পরিষেবার সদস্যরা উপকূল ও সাগরে নিখোঁজ অভিবাসন প্রত্যাশীদের খুঁজছেন বলেও জানিয়েছে এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘নৌকাটিতে ১৪০ থেকে ১৫০ ছিল। এখনও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।’
ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে আফগানিস্তান, ইরানসহ কয়েকটি দেশের নাগরিক ছিল। ইতালির ক্রোটন প্রদেশের সমুদ্র তীরবর্তী স্টেকাতো ডি কুট্রোর রিসোর্টের কাছের সমুদ্রে এটি ডুবে যায়।
ইতালির পুলিশ কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিবাসন প্রত্যাশীদের নৌকাটি চার দিন আগে তুরস্কের ইজমির উপকূল থেকে ছেড়ে আসে। গতকাল শনিবার ইতালি উপকূলের ৭৪ কিলোমিটার দূরে প্রথম নৌকাটিকে শনাক্ত করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের একটি বিমান এটিকে শনাক্ত করে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, নৌকাটি যেন ইতালির উপকূলে না আসতে পারে সেজন্য কয়েকটি টহল নৌকা জড়ো করা হয়। তবে, বৈরি আবহাওয়ায় সেগুলোকে বন্দরে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
ইতালির সংবাদ সংস্থা এএনএসএ জানিয়েছে, সমুদ্র সৈকতে প্রথমে কয়েক মাসের এক শিশুর মরদেহ ভেসে আসে। কুট্রোর মেয়র অ্যন্তনিও ক্রেসা বলেন, ‘নিহতদের তালিকায় নারীসহ বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে।’ তবে, কতজন নারী ও শিশু রয়েছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট করেননি তিনি।