পানির নিচ দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম এমন ড্রোনের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। আজ শুক্রবার (২৪ মার্চ) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। একইসঙ্গে সিউল ও ওয়াশিংটনের যৌথ মহড়া বন্ধের জন্য হুমকি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন। খবর রয়টার্সের।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, পরীক্ষার সময় ড্রোনটি সমুদ্রের ৮০ থেকে ১৫০ মিটার তলদেশ পর্যন্ত গিয়েছিল। পারমাণবিক অস্ত্র সাদৃশ্য বস্তু নিয়ে ৫৯ ঘণ্টা পানিতে চলার পর পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলে গিয়ে ড্রোনটি বিস্ফোরিত হয়।
বিশ্লেষকদের দাবি, নিজেদের বৈচিত্র্যময় পরমাণু অস্ত্র দিয়ে সিউল ও ওয়াশিংটনকে ভয় দেখাচ্ছে পিয়ংইয়ং। তবে, পানির তলদেশ দিয়ে উত্তর কোরিয়ার হামলার বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে তাদের।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের বিশেষজ্ঞ অঙ্কিত পান্ডা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াকে যুদ্ধের সংকেত দিতে চায় উত্তর কোরিয়া। পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে মিত্র দেশ দুটিকে উদ্বিগ্ন করতে চাই পিয়ংইয়ং। তাদের মতে, লক্ষ্যবস্তু বিশাল হবে।’
কেসিএনএ বলছে, ‘হাইল বা সুনামি নামে পরিচিত নতুন ড্রোন সিস্টেমটি শত্রুর সমুদ্র সীমায় লুকিয়ে আক্রমণ করতে সক্ষম। পানির নিচে বিস্ফোরণের মাধ্যমে একটি বড় তেজস্ক্রিয় তরঙ্গ তৈরি করে নৌবাহিনীর স্ট্রাইক গ্রুপ এবং প্রধান অপারেশনাল বন্দরগুলোকে ধ্বংস করার উদ্দেশে এটি তৈরি করা হয়েছে।’ ড্রোনটির পরীক্ষার সময় কিম জং উন এটির তদারকি করেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর এক সদস্য বলেন, ‘আমার উত্তর কোরিয়ার দাবি বিশ্লেষণ করছি।’ আর নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের এক সামরিক কর্মকর্তা বলেন, ‘পারমাণবিক পরীক্ষার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।’
এর আগে গত বুধবার একাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছিল উত্তর কোরিয়া। আর চলতি মাসের ১২ তারিখে সাবমেরিন থেকে দুটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল তারা। গত সপ্তাহে একটি আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাও চালিয়েছিল পিয়ংইয়ং।