বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

বরগুনার সেই অসহায় মা-বাবার পাশে ডিসি

বরগুনার সেই অসহায় মা-বাবার পাশে ডিসি

বরগুনা প্রতিনিধি ॥

জন্ম থেকে কোমড়ে বিশাল আকৃতির একটি টিউমার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে বরগুনার তালতলী উপজেলার মনশাতলী গ্রামের রিয়াজ শরীফ ও শাহানাজ আক্তার দম্পতির পুত্র সন্তান সানাউল শরীফ।

বর্তমানে অনেক কষ্টে আছে দুই মাসের শিশু সানাউল। ব্যথায় সারাক্ষণ ছটফট করছে শিশুটি। শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু টাকার অভাবে দরিদ্র বাবা রিয়াজ শরীফের পক্ষে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। এ কারণে শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বরগুনা জেলা প্রশাসক।

গত ২ অক্টোবর বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যালে কলেজ হাসাপাতালে জন্ম হয় শিশু সানাউল শরীফের। জন্মগতভাবইে শিশুটির কোমড়ে একটি টিউমার দেখা যায়।

টিউমার দেখে হাসপাতালরে চিকিসৎকরা শিশুটির চিকিৎসা করাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। বাধ্য হয়ে সানাউলের পরিবার গত ৮ অক্টোবর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সেখানের চিকিৎসকরা দ্রুত টিউমারটি অপারেশন করার পরামর্শ দেন। টিউমারটি অরারেশন করতে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা প্রয়োজন হবে বলে তারা জানান। দরিদ্র বাবার পক্ষে এতো টাকা খরচ করে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয় বলে চিকিৎসা না করিয়ে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন।

গত ২ মাসে টিউমারটি বড় হয়ে প্রায় ২/৩ কেজি ওজনের লালচে রংঙের আকার ধারন করেছে। বেশ কয়েক জায়গায় ফোসকার মতো পড়েছে। এর যন্ত্রণায় শিশু সানাউল শরীফ সারাক্ষণ ছটফট করছে।

সম্প্রতি রিয়াজ শরীফ ও শাহানাজ আক্তার দম্পত্তি তার শিশু পুত্র সানাউল শরীফকে নিয়ে বরগুনার জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাইন বিল্লাহ সাথে দেখা করেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক শিশু সানাউল শরীফের কোমরে থাকা টিউমারটি দ্রুত অপসারণ করার জন্য চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নেন বলে ভূক্তভোগী দম্পত্তি জানান।

শিশু সানাউল শরীফের মা শাহনাজ বেগম কান্নাজরিত কণ্ঠে বলনে, ‘আল্লাহ মোরে একটা মাত্র পোলা দেছে, হে পেলাডাও টিউমার লইয়া জন্মাইছে’। জেলার বড় স্যারে (জেলা প্রশাসক) মোর পোলার টিউমার অপারেশন করে দেবেন।

শিশু সানাউল শরীফের বাবা রিয়াজ শরীফ বলনে, আমি গরিব মানুষ। সহায় সম্ভল বলতে বসত ঘর ছাড়া আর কিছুই নাই। চিকিৎসকরা বলেছেন, মোর পোলার চিকিৎসা করতে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা লাগবে।

এতো টাকা যোগার করার সামর্থ মোর নাই। বরগুনার জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে দেখা করেছি তিনি মোর পোলার চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা করবেন বলে মোগো আশ্বস্থ করেছেন।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাইন বিল্লাহ মুঠোফোনে বলেন, হতদরিদ্র পিতা-মাতার সন্তান সানাউল শরীফের চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় জেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech