আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইউক্রেনের ভূখণ্ডে শুধুমাত্র কিয়েভের সঙ্গে লড়ছে না রুশ বাহিনী, তারা লড়ছে ন্যাটোর বিরুদ্ধেও, এই অভিযোগ অনেক আগে থেকেই করে আসছিল মস্কো। এবার তাদের সেই অভিযোগ সত্য হলো। ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফাঁস হওয়া কয়েক ডজন গোপন নথির মধ্যে একটিতে মিলেছে এই তথ্য। নথি অনুযায়ী, ইউক্রেনের যুদ্ধ ক্ষেত্রে লড়ছে ন্যাটোভুক্ত পশ্চিমাদের বিশেষ বাহিনী। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, লাটভিয়া, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের বিশেষ বাহিনীর সদস্য। আজ বুধবার (১২ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি ন্যাটোভুক্ত পশ্চিমা দেশের সামরিক বাহিনীর বিশেষ ইউনিট কার্যক্রম চালাচ্ছে। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া কয়েক ডজন গোপন নথির একটিতে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটো যুদ্ধ করছে বলে অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল। ফাঁস হওয়া নথি এখন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ফাঁস হওয়া নথির কয়েকটি ‘অতি গোপনীয়’ হিসেবে চিহ্নিত করা ছিল। এতে ইউক্রেন যুদ্ধের বিস্তারিত চিত্র উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এখন খোঁজার চেষ্টা করছেন, কোন দেশ বা ব্যক্তি এই তথ্য ফাঁস করেছে।
‘২৩ মার্চ’ লেখা ফাঁস হওয়া নথির তথ্যানুযায়ী, ইউক্রেনের যুদ্ধ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি লড়ছে যুক্তরাজ্যের বিশেষ বাহিনী। দেশটির বিশেষ বাহিনীর ৫০ সদস্য ইউক্রেনে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়া লাটভিয়ার ১৭, ফ্রান্সের ১৫, যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ ও নেদারল্যান্ডসের একজন বিশেষ বাহিনীর সদস্য কাজ করছে।
কেন বা ইউক্রেনের কোথায় বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন সে বিষয়ে ফাঁস হওয়া নথিতে কোনো বিবরণ ছিল না।
বিবিসি বলছে, পশ্চিমাদের বিশেষ বাহিনীর এই সেনা সংখ্যা কম মনে হতে পারে। এমনকি সে সংখ্যা কম বেশিও হতে পারে। কিন্তু, বিশেষ বাহিনী তাদের স্বভাবগতভাবে অত্যন্ত কার্যকর। ইউক্রেনে পশ্চিমা বিশেষ বাহিনীর উপস্থিতির সুবিধা নিতে পারে রাশিয়াও। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মস্কো বলে আসছে, তারা কেবল ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে না, ন্যাটোর বিরুদ্ধেও লড়ছে।
ইউক্রেনে বিশেষ বাহিনী পাঠানোর কথা ফাঁস হওয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে তারা বলে, ‘কথিত গোপন তথ্য ফাঁস প্রমাণ করেছে, এতে গুরুতর মাত্রায় ভুল রয়েছে। পাঠকদের ভুল তথ্য ছড়ানো ও কথিত অভিযোগগুলো গ্রহণ করার বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত।’
ফাঁস হওয়া নথির কোন তথ্য নিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মন্তব্য করেছে সে বিষয়টি তাদের টুইট বার্তায় স্পষ্ট করেনি। তবে, পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বলছেন, ফাঁস হওয়া নথিগুলো সত্য।