ডেস্ক রিপোর্ট :
বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট মোখা ধেয়ে আসছে দেশের উপকূলীয় এলাকায়। কক্সবাজার ও জেলাটির অদূরবর্তী দ্বীপ এবং চরসমূহে জারি করা হয়েছে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। পাশাপাশি চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালীসহ উপকূলীয় ১১ জেলায় চলছে আট নম্বর বিপদ সংকেত। উপকূলীয় এলাকায় স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ইতোমধ্যে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। তারপরও কক্সবাজারের সৈকত ও চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বিচ এলাকায় ভিড় জমিয়েছেন অনেক পর্যটক। মোখা দেখতেই নাকি এসেছেন তারা।
এদিকে, পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও সৈকতকর্মীরা। সাগরে না নামতে বারবার সতর্ক করছেন লাইফ গার্ড কর্মীরা।
আজ শনিবার (১৩ মে) সকাল থেকেই কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যটকদের আনন্দ উল্লাস ও হইচই করতে দেখা গেছে। অনেকজনই সাগরে করছিলেন স্লান। যদিও মোখার প্রভাবে সৈকতে বিপদ সংকেত ‘লাল’ পতাকা টানানো হয়েছে। এমন অবস্থায় পর্যটকদের নিরাপদে থাকতে ও দ্রুত সমুদ্র থেকে উঠে যেতে মাইকিং করছেন বিচ কর্মীরা।
মোখা দেখতে চাঁদপুর থেকে কক্সবাজারের এসেছেন রবিউল নামের একজন। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় দেখতেই কক্সবাজার এসেছি। এটি কখন আসবে, সেই অপেক্ষায় আছি। ১৫ মে পর্যন্ত কক্সবাজার থাকব। আশাকরি, মোখা দেখতে পাব।’
সি সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ড কর্মীরা জানান, সাগর উত্তাল হয়ে উঠছে। পর্যটকদের সতর্ক করতে লাল পতাকা টানানো হয়েছে। আর পর্যটকদের হাঁটুপানির নিচে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনটি পয়েন্টে এখনও আনুমানিক ১০ হাজারের বেশি পর্যটক রয়েছেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, ‘পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে। যদি সংকেত বাড়ে, তাহলে পর্যটকদের সৈকত থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেওয়া হবে।’
কক্সবাজারের মতো চট্টগ্রামে পতেঙ্গা এলাকায়ও মানুষ ভিড় দেখা গেছে। তবে, প্রশাসন থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।