বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

লোডশেডিংয়ের সমাধান চলতি মাসেই

লোডশেডিংয়ের সমাধান চলতি মাসেই

ডেস্ক রিপোর্ট :
দেশে তীব্র গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে লোডশেডিংও। এই সংকট কবে শেষ হবে তা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, ‘লোডশেডিং বেশিদিন থাকবে না। এ মাসের মধ্যে সমাধান করতে পারব।’

আজ মঙ্গলবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর এক সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় দেশজুড়ে চলমান লোডশেডিংয়ের জন্য দুঃখপ্রকাশ করে সবাইকে ধৈর্য ধরার জন্য অনুরোধও করেছেন এই নসরুল হামিদ।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের জন্য ৩২ কোটি ৪৬ লাখ চার হাজার টাকা মঞ্জুরি দাবি করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। তার এ দাবিতে ছাঁটাই প্রস্তাব দেন ১০ সংসদ সদস্য। তবে, আজকের আলোচনায় অংশ নেন ছয়জন। বাকিরা অনুপস্থিত ছিলেন।

ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘কোভিড আমাদের অনেক ক্ষতি করে দিয়েছে। একটা হচ্ছে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। আরেকটা হচ্ছে, স্বাস্থ্যগতভাবে মেমোরিটা লস করে দিয়েছে। ১৬ ঘণ্টা, ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকত না। সেখান থেকে আমরা শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দিনের বেলায় ১২ হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারি। পিক আওয়ারে সন্ধ্যা বেলায় ১৪ থেকে ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারি। দুই থেকে আড়াই হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং বর্তমানে চলছে। আরেক সংসদ সদস্য বলছেন আমরা প্রচার করছি না। কিন্তু, আমি বার বার বলেছি, আমরা প্রচার করছি। ওয়েবসাইটে দিয়েছি, বিজ্ঞাপন প্রচার করছি। আমরা কষ্টটা সকলের সঙ্গে ভাগ করতে চেয়েছি। লোডশেডটা বেশিদিন থাকবে না। এর জন্য আমরা দুঃখপ্রকাশ করেছি।’

বর্তমান সংকটের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা সময় মতো কয়লার জন্য এলসি করতে পারিনি। বৈশ্বিক ব্যবস্থা ও বর্তমানে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সবকিছুর ওপর চিন্তা করে আমরা সময় মতো কয়লাটা আনতে পারিনি। যে কারণে পায়রার এ অবস্থা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্ল্যান্ট চালু করে দেব।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের নতুন পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু হবে, পায়রা চালু হবে। রামপাল চলছে। এসএস পাওয়ার চালু হয়ে যাবে। আমরা ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনছি। আরও নিয়ে আসব। কিন্তু, কিছু কিছু জায়গায় আমাদের যে সমস্যা হচ্ছে সেটা হচ্ছে বৈশ্বিক জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায়। আমাদের অর্থের যোগানটা সমস্যা হয়ে গেছে। এটা বেশিদিনের জন্য না। আমরা মনে করি ১৫ থেকে ১৬ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’

মধ্যরাতে বিদ্যুতের ব্যবহার বেশি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আগে ছিল না। অটোরিকশা সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ নিয়ে যায়। আমরা তো বন্ধ করিনি। সেগুলোও চালু রেখেছি। সাধারণ মানুষ যাতে সেটা ব্যবহার করতে পারে। ৪০ লাখের মতো অটোরিকশা আছে দেশে।’

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech