ডেস্ক রিপোর্ট :
ঈদুল আজহার দিনও ঢাকাসহ সারা দেশে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারণে সৃষ্ট বিরতিহীন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তারিফুল নেওয়াজ কবির বলেছেন, গতকাল মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল ৬টা থেকে বুধবার (২৮ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়া অফিস সারা দেশে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। তবে বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। এ বৃষ্টিপাত আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিকেলে তা হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে কাছের মানুষদের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি রওনা হওয়া মানুষেরা বৃষ্টির কারণে যানজট ও অন্যান্য সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
এছাড়া যারা এখনো কোরবানির পশু কিনতে পারেননি তারা গরুর হাটে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। অন্যদিকে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সুযোগ নিয়ে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আজ বুধবার (২৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী দুই দিনে ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে।
গতকাল মঙ্গলবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস সৈয়দপুরে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস কুতুবদিয়ায়। এদিন দেশে সর্বোচ্চ ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সন্দ্বীপে।
সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় বলা হয়, উত্তর উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে ছত্তিসগড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়া যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।