ডেস্ক রিপোর্ট :
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতা যিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষার। এজন্য এ দেশকে স্বাধীনতা করা হয়েছে।
নয়াপল্টনে আজ শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনের সড়কে মহাসমাবেশে একথা বলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ ও বিদ্যমান অবৈধ সংসদের বিলুপ্তি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে তার অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি, মিথ্যা গায়েবী মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আগামীকাল শনিবার (২৯ জুলাই) ঢাকা মহানগরীর সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। বেলা ১১টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, তারেক রহমানকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। তারপরও তিনি দিনরাত পরিশ্রমী করে চলেছেন দেশকে রক্ষা করার জন্য। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ধ্বংস করে বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে প্রশাসনকে ব্যবহার করে জোরপূর্বক ক্ষমতায় রাখতে চায়। এ অবৈধ সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটক রেখেছে। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দিয়ে আটকে রেখেছে। আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা তাকে মুক্ত করব।’
মির্জা ফখরুল বলেন, এ সমাবেশে প্রবেশের সময় কাকরাইলে দেখলাম হাইমচর থেকে আসা বয়ষ্ক লোক দাঁড়িয়ে আছে দেশে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য। বাংলাদেশে গত দশ বছরে একশ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে গেছে। দেশের মায়েরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাপড় তৈরি করছে, কৃষক পরিশ্রম করে খাদ্য উৎপাদন করছে। বিদেশে শ্রমিক ভাইয়েরা হাঁড় ভাঙা পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠায় আর তারা চুরি করে টাকা বিদেশে পাচার করছে। এখন স্যাংশন আসার পর আমেরিকা পাচার হওয়া টাকা ফেরত এনে আবার ইনসেনটিভ নিচ্ছে। চুরি করা টাকা ফেরত এনে আবার দেশের টাকা লুটেপুটে নিচ্ছে। আগামীর বাংলাদেশকে ফেরৎ আনতে এ যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। দফা এক দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ। বর্তমান বিচার ব্যবস্থা ন্যায়বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ বিচার ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের অনেক নেতাদের মামলা দ্রুত রায় দেওয়ার জন্য এগিয়ে নিচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের ৬শ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। ৪০ লাখ নেতাকর্মীরা বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। শত শত নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের এখনো বছরের পর বছর কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। প্রশাসন ও পুলিশ ভাইদের বলতে চাই বেআইনি গ্রেপ্তার বন্ধ করুন। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন।
সবশেষে তিনি কর্মসূচি বাস্তবায়নে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।