ডেস্ক রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দেশবাসীকে বিএনপি-জামায়াত চক্র সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তারা দেশ তথা গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুনী, সন্ত্রাসী, জঙ্গি, গ্রেনেড হামলাকারী, দশ ট্রাক আগ্নেয়াস্ত্র চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন, যেহেতু বিএনপি দেশকে ধ্বংস করার তৎপরতা চালাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘বিএনপির সঙ্গে কোনো বিদেশি শক্তি নেই, লুটেরাদের পাশে কেউ থাকতে পারে না।’
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ শনিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্বকালে দেয়া সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী, যুদ্ধাপরাধী, ধর্ষক ও লুটেরাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে।’
বিদেশি শক্তি সঙ্গে রয়েছে বিএনপির এ দাবি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে কোনো বিদেশি শক্তি নেই, কেননা লুটেরাদের পাশে কেউ থাকতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘তারা দাবি করে, তাদের আন্তর্জাতিক শক্তি আছে। আমরা জানতে চাই, কোন শক্তি তাদের পাশে আছে? লুটেরাদের সঙ্গে কেউ থাকবে না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভাটি সঞ্চালনা করেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও কাজী জাফরউল্লাহ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির ১৯৯১-৯৬ এবং ২০০১-০৬ এর শাসনামলকে ‘অন্ধকার যুগ’ আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘তারা ক্ষমতায় এলে দেশ আবার অন্ধকারের যুগে ফিরে যাবে।’
ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণের কারণে জনগণের দ্বারা সরকার থেকে উৎখাত হওয়া সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সরকার উচ্ছেদ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপির তীব্র সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘বিএনপি কিভাবে নির্বাচন নিয়ে কথা বলে যেখানে ভোট কারচুপির জন্য তারা সরকার থেকে উৎখাত হয়েছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে এবং এভাবেই দেশবাসীর মন জয় করে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভোটে কারচুপির প্রয়োজন হয় না।