স্টাফ রিপোর্টার।। বিএম কলেজের এক ছাত্রকে জিলা স্কুলের সামনে থেকে অপহরণ করে অচেতন নাশক ইনজেকশন দিয়ে বাংলাবাজার এলাকায় টানা ৫ ঘন্টা মারধর করেছে হিমেল বাহিনী বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় তার কাছে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলেও বলে অভিযোগ রয়েছে।শনিবার (৭অক্টোবর) বিকেল ৫ টায় বাংলাবাজার এলাকায় একটি ম্যাচে এ ঘটনা ঘটে। আহতের নাম মামুন সে সাগরদী এলাকার ভাড়াটিয়া ও সৌদি প্রবাসী শামসুল আলমের ছেলে। সে বরিশাল বিএম কলেজের অনার্স (ফিজিক্স) বিভাগের প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্র।বর্তমানে সে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত মামুন জানান, প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিন সে বাংলাবাজার এলাকায় একটি বাসায় প্রাইভেট পড়াতে যায়। এ সময় অপহরণকারীর প্রধান হোতা হিমেল ও তার সহযোগী ফারদিন ও সিয়াম সহ অজ্ঞাত আরো ২০-৩০ জন তাকে টিউশনি দেয়ার কথা বলে তার মোবাইল ফোনে ফোন করে জিলা স্কুলের সামনে ডেকে নেয়। পরে সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে বাংলাবাজার এলাকায় একটি ভাড়া কৃত ম্যাচে আটকে রেখে শরীরে অচেতন নাশক ইনজেকশন পুশ করে। টানা ৫ ঘন্টা বেধড়ক মারধর করে। তার সাথে থাকা তার মায়ের একটি উন্নত মানের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। মারধর করে তাকে বাধ্য করে যে সে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে সেই ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে। পরে সেখান থেকে তারা তাকে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়। সেখানের দায়িত্বরত এস আই আব্দুল মান্নানকে সেই ভিডিও ধারণকৃত মোবাইল ফোন দেখালে মান্নান তাকে দোষী করে। সংবাদ পেয়ে তার মা সাজেদা বেগম থানায় যায়। মামুনের বাবা অসুস্থ বলে তাদের কাছ থেকে কয়েকবার আর্থিক সাহায্য নিয়েছে বলে তাকে জানান। কিন্তু সে মান্নান কে জানান ঘটনাটি সত্য নয়। কারণ তাদের আর্থিক কোন সমস্যা নেই তার স্বামী ১জন সৌদি প্রবাসী। বরং উল্টো তারা তার ছেলের কাছে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। না দিলে তার কেরিয়ার নষ্ট করে দিবে বলে হুমকি দিয়েছে। অপরদিকে তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ব্যাপারে এসআই আব্দুল মান্নান বলেন,আমি শুনেছি মামুন তার বাবার অসুস্থতার কথা বলে তাদের কাছ থেকে প্রায় ৯০ হাজার টাকা সাহায্য নিয়েছে। বিষয়টি ভুয়া প্রমাণিত হলে হিমেলসহ অন্যন্যরা তাকে থানায় ধরে আনে। এ ব্যাপারে মামুন বলেন, তারা আমার মোবাইল ফোনের বিকাশ নাম্বার হ্যাক করেছে এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আহতের স্বজনরা জানান।