ডেস্ক রিপোর্ট :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘যারা নতুন কারিকুলাম নিয়ে তথাকথিত আন্দোলন করছেন, তাদের বেশির ভাগই কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কেউ কেউ নোট-গাইড স্কুল পর্যায়ে নিয়ে কমিশনের মাধ্যমে বিক্রি করেন। দুঃখজনক হলেও সত্য, এর সঙ্গে কিছু সংখ্যক শিক্ষকও জড়িত।’
আজ শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা যে দাবিগুলো করছেন, তা একবারেই যৌক্তিক নয়। সংস্কারের নামে তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো কোচিং ব্যবসাকে বাঁচিয়ে রাখা।’
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের নতুন শিক্ষা কারিকুলাম রূপান্তরের। কারণ, আমরা একটি মুখস্ত বিদ্যার জগৎ পার হয়ে এসেছি। প্রযুক্তি এসেছে। এখনকার শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হয়। আমরা সারা জীবন পিছিয়ে থাকব? নিশ্চিয় না। আমরা ২০৪১ সালে নতুন এক উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখছি। আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে মুখস্থ নির্ভর নয়, আমাদেরকে জেনে-বুঝে অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শিখতে হবে।’
নতুন বছরের পাঠ্যবই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখনও আশাবাদী, নতুন বছরে সময়মতো শিক্ষার্থীদের কাছে বই পৌঁছে দিতে পারব।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম মোসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুদা নূর খানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।