ডেস্ক রিপোর্ট :
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সব হাসপাতাল আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে হামাস নিয়ন্ত্রণাধীন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে এ সতর্ক বার্তা জানান মুখপাত্র ডা. আশরাফ আল-কুদরা। তিনি বলেন, ‘জ্বালানি সংকটের কারণে, অবরুদ্ধ ছিটমহলের সব হাসপাতাল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা ইতোমধ্যে পরিষেবার বাইরে চলে গেছে, বিশেষ করে গাজার উত্তরাঞ্চলে।’
আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) প্রকাশিত আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল সোমবার গাজার সর্ববৃহৎ দুই হাসপাতাল আল-শিফা ও আল-কুদসের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এর কারণ হলো জ্বালানি ও প্রয়োজনীয় মেডিকেল সরঞ্জামাদির অভাব।
গাজার বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। দ্রুত সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ডাক ও জরুরি মানবিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে, গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ছয় ফিলিস্তনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। খান ইউনিস এলাকার দুটি আবাসিক ভবন হামলার শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে। আর অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেমে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় অন্তত পাঁচ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত নয়জন, তাদেরকে তাহবেত সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় দপ্তর ওসিএইচএ জানায়, গত ৫ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন দুই লাখ ফিলিস্তিনি। গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে গিয়েছেন তারা।
সংস্থাটি বলেছে, ‘গাজার দক্ষিণাঞ্চলে অত্যাধিক ভিড় এবং আশ্রয়, খাদ্য ও পানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা উদ্বেগজনক। কারণ, সেখানে অধিক মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় পানি ও খাবার নেই।’