ডেস্ক রিপোর্ট :
নেত্রকোনার মদনে প্রবাসফেরত এখলাছ উদ্দিন (৩৫) নামের যুবক অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৬ দিন দিন পর শনিবার রাতে মারা গেছেন।
ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গত ১৩ নভেম্বর ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
এখলাছ উদ্দিন কেন্দুয়া উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়েনের পাছহার আমজাদ হোসেনের ছেলে। থাকতেন মালয়েশিয়া। গত এক বছর আগে নিজ গ্রামে ফিরে আসেন।
জানা গেছে, এখলাছ উদ্দিন গত প্রায় পাঁচ বছর আগে পার্শ্ববর্তী উপজেলা মদনের কাইটাইল ইউনিয়নের সুতিয়ারপাড় গ্রামের খাইরুল ইসলামের মেয়ে মুক্তা আক্তারের (২৬) সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল বিয়ের পর থেকে। এর মাঝে স্ত্রী মুক্তা চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তাদের পারিবারিক কলহ নিয়ে এলাকায় দেন-দরবারও হয়। গত ১৪ নভেম্বর বিকালে একটি দরবার হওযার কথাও ছিল। কিন্তু ১৩ নভেম্বর সোমবার সকালে শ্বশুরবাড়ি সুতিয়ারপাড়া গ্রামে গিয়ে তিনি অগ্নিদদ্ধ হন।
তার পরিবারের দাবি ও জীবিত অবস্থায় এখলাছের দাবি, স্ত্রীর কাছে দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে তাকে ডেকে এনে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পরদিন ১৪ অক্টোবর বিকালে এখলাছের চাচাতো ভাই কসিম উদ্দিন মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে জানা গেছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথোপকথনের পর মুক্তা চট্টগ্রাম থেকে গত ১০ নভেম্বর শুক্রবার বাড়ি আসেন। পরে খবর পেয়ে তার স্বামী এখলাছ মুক্তাদের বাড়ি গিয়ে মুক্তাকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। এতে মুক্তা রাজি না হওয়ায় ঘরের দরজা লাগিয়ে কেরোসিন ঢেলে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন ওই যুবক। পরে শাশুড়ি ও প্রতিবেশীরা গিয়ে আগুন নেভাতে চাইলে হাসনা আক্তার নামের এক নারী দগ্ধ হন।
এদিকে, সকালেই তাকে হাসপাতালে নিলে পরে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ছয় দিন ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর শনিবার রাতে তিনি মারা যান।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান, শনিবার রাতে এখলাছ মারা গেছেন। তার স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে পুলিশ গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। তদন্ত চলছে। কীভাবে কী হয়েছে জানতে চাইলে সেই কারণ নিয়ে এখন কিছু বলা যাবে না বলেও জানান তিনি।