ডেস্ক রিপোর্ট :
টানা তিন দিনের ঘোড়া দৌড়ের পর ঝাঁজ কমতে শুরু করেছে পিয়াজের। প্রশাসনের টানা অভিযান ও দেশী-বিদেশি পিয়াজ দেশের অন্যতম পাইকার বাজার চাক্তাই খাতুনগঞ্জে প্রবেশ করায় নিম্নমুখী পিয়াজের দাম। মঙ্গলবার দেশের অন্যতম পাইকার বাজার খাতুনগঞ্জ-চাক্তাইয়ে পিয়াজ রকম ভেদে বিক্রি হয়েছে কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকায়। পাশাপাশি বিকল্প দেশ থেকে পিয়াজ আমদানি করে বাজার স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড এণ্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগির আহমেদ বলেন, ‘বিকল্প দেশ থেকে পিয়াজ আমদানি বাড়ালে দ্রুতই দেশে পিয়াজের বাজার স্থিতিশীল হবে। এরই মধ্যে ব্যবসায়ীরা চিন, মিশর, তুরস্কসহ অন্যান্য দেশ থেকে পিয়াজ আমদানি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে সরকারকে ব্যবসায়ীদের সার্বিক সহায়তা করা উচিত।
খাতুনগঞ্জের আড়তদার সোলাইমান বাদশ বলেন, দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কমতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার খাতুনগঞ্জে দেশীয় পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি, ভারতীয় পিয়াজ ১৩০ টাকা এবং চীনের পিয়াজ ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বাজারে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পিয়াজের দাম আরো কমবে আশা করছি।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের দাবি- মিয়ানমার থেকে পিয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করার সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যে মিয়ানমারের পিয়াজ দেশে প্রবেশ করবে। এছাড়া এলসি খোলার এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে চীন, পাকিস্তান, মিশর এবং তুরস্ক থেকে পিয়াজ আমদানি সম্ভব। অন্যদেশ থেকে পিয়াজ আমদানি বাড়ালে ভারতের সিদ্ধান্তের কোনো প্রভাবই পড়বে না বাজারে।
চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, সর্বশেষ রবিবার ও সোমবার দুই দিনে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২২৬ টন পিয়াজ আসে। জুলাই থেকে এ পর্যন্ত চীন ও পাকিস্তান থেকে ২ হাজার ৪১৯ টন পিয়াজ আমদানি হয় দেশে।