বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে মা উধাও, মেয়ের সংবাদ সম্মেলন

পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে মা উধাও, মেয়ের সংবাদ সম্মেলন

নিউজ ডেস্ক:

পরকীয়া প্রেমিক নিয়ে উধাও স্কুলশিক্ষিকা মাকে ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্কুলছাত্রী মাইমুনা আক্তার তানহা (১৩)। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় তানহার বাবা সুলতান মাহমুদও উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মাইমুনা আক্তার তানহা বলে, আমি একজন নাবালিকা। আমার মা মোছা. শাহনাজ আক্তার (৩৩) বাসাইল উপজেলার বর্ণি কিশোরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। আমার বাবা প্রবাসে থাকার সময় আমার মায়ের পূবালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ৫৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭২ টাকা পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া মাকে বাবা বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার ও সখীপুর মৌজায় জমি কিনে দিয়েছেন। আমার নানার বাড়িতে দুটি টিনের ঘরও নির্মাণ করে দেন।

আমার বাবা বিদেশে থাকা অবস্থায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরদিঘুলিয়া গ্রামের হাসান মাস্টারের ছেলে মনিরুজ্জামান মামুনের (মাসুম) সঙ্গে আমার মায়ের পরকীয়া সম্পর্ক হয়। পরে সেই বিষয়টি আমি জানার পর মাকে ওই সম্পর্ক থেকে বিরত থাকতে বললে একাধিকবার আমাকে মারধর করে। নানাভাবে বুঝিয়ে কোনো লাভ হয়নি।

স্কুলছাত্রী মাইমুনা আক্তার তানহা বলে, গত ৮ নভেম্বর আমার মা ২০ লাখ টাকা ও ১৬ ভরি স্বর্ণ নিয়ে এবং আমার ছোট ভাই আড়াই বছরের আদিল আহানাফকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আমি ও আমার বাবা বিভিন্ন এলাকা এবং আত্মীয়ের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি মা মনিরুজ্জামানের মামুনের সঙ্গে পালিয়ে গেছে।

বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করার পর থেকে মনিরুজ্জামান মামুন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের হুমকি, ধামকি দিয়ে আসছে। আমি মামুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার মাকে আমি ফিরে পেতে চাই। মাকে নিয়ে আগের মতো আমরা সুখের সংসার করতে চাই।

তানহা আরও জানায়, বিষয়টি টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের এমপি জোয়াহেরুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বাসাইলের ইউএনও, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, ৩০ নং বর্ণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর আবেদন করেও কোনো সমাধান হয়নি। পরবর্তীতে বাবা বাদী হয়ে টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাসাইল থানা আমলি আদালতে মামলা করেন।

তবে সংবাদ সম্মেলনে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে স্কুলশিক্ষিকা শাহনাজ আক্তার জানান, চলতি বছরের মে মাসে তার স্বামী সুলতান মাহমুদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণে তিনি বাড়ি ছাড়েন। ১৬ মে আদালতের মাধ্যমে প্রথম স্বামী সুলতান মাহমুদকে তালাক দেন। এরপর নিজ পরিবারের সম্মতিতে আবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

তিনি বলেন, গত মে মাসে প্রথম স্বামীর বাড়ি ত্যাগ করেছি। এখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে ৮ নভেম্বর স্বামীর বাড়ি ত্যাগ করাসহ টাকা আর স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করেছি। ছেলে ও মেয়েকে নিয়েই আমি বাড়ি ছেড়ে ছিলাম। তবে গত মাসে মিথ্যা আশ্বাসে মেয়ে মাইমুনা আক্তার তানহাকে আগের স্বামী নিয়ে যান। এখন আমার মানহানি করতে এবং মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে নাটক চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এ নিয়ে আদালতেও তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতেই আমি সুলতান মাহমুদের মুখোমুখি হবো।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech