ডেস্ক রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ২৯ ডিসেম্বর মাঠে নামবে। নির্বাচনি পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ সকল বাহিনি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমানের জারি করা গতকাল বৃহস্পতিবারের (২১ ডিসেম্বর) পরিপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় মেট্রোপলিটন এলাকা সাধারণ কেন্দ্রে ১৫ জন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন, মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে এবং পার্বত্য ও দুর্গম এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৫ থেকে ১৬ জন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৭ জন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ফোর্স মোতায়েন থাকবে। প্রয়োজনে রিটার্নিং কর্মকর্তা এই সংখ্যা বাড়াতে পারবেন।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, এবার পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার সদস্য, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ ও র্যাব সদস্য, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড সদস্য এবং ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি সদস্য থাকবেন।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভোটের মাঠে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সেই অনুরোধে ‘নীতিগত সম্মতি’ দেন রাষ্ট্রপতি। ওই বৈঠকের পরদিনই ইসি এ সংক্রান্ত চিঠি সশস্ত্রবাহিনী বিভাগে পাঠায়। আর গতকাল পরিপত্র জারি করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।