বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

দুই বিলিয়ন ডলার বাড়ল এক মাসের ব্যবধানে দেশে রিজার্ভ

দুই বিলিয়ন ডলার বাড়ল এক মাসের ব্যবধানে দেশে রিজার্ভ

ডেস্ক রিপোর্ট :
দেশে রিজার্ভের পরিমাণ বেড়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) বিভিন্ন আর্থিক সহযোগী সংস্থার ঋণ ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার কারণে দেশের বৈ‌দে‌শিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ২১ দশ‌মিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে, যা মাসের শুরুতে নেমেছিল ১৯ বিলিয়ন। ফলে এক মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ বাড়ল দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনের এ তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্তানুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ ২১ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন। এক মাস আগে গত ২৯ নভেম্বর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক শূন্য দুই বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী ছিল ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে এক মাসে রিজার্ভ বেড়েছে দুই দশমিক শূন্য চার বিলিয়ন ডলার।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি এসেছে। এ ছাড়া এডিবি থেকে ৪০০ মিলিয়ন, সাউথ কোরিয়ার একটা ফান্ড থেকে ৯০ মিলিয়নসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার দেওয়া অর্থ এ মাসে এসেছে। সঙ্গে রে‌মিট্যান্স প্রবাহ ই‌তিবাচক র‌য়ে‌ছে। সব মিলিয়ে রিজার্ভ ভালো অবস্থায় ফিরছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য সূত্র থেকে জানা গেছে , গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ছিল ২৫ দশমিক শূন্য দুই বিলিয়ন ডলার। ২০১৫-১৬ তে ৩০ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৩২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৩৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন। ২০২০-২১ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৪৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪১ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার এবং সব শেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ৩১ বিলিয়ন ডলার।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech