ডেস্ক রিপোর্ট :
বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে। তখনই বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসন্ত্রাস করে। বাসে ও গাড়িতে আগুন দিচ্ছে। ধিক্কার জানাই বিএনপি-জামায়াতকে। তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। তারা মানুষ হত্যা করে। তাদেরকে আর মানুষ চায় না।’
বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে নির্বাচনি জনসভায় আজ শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘অতীতের মতো এবারও বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায়। বিএনপির ক্ষমতাকালে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশের অন্ধকার যুগ ছিল। দেশের সম্পদ বিক্রি না করায় ২০০১ সালে আমাকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি। খালেদা জিয়া মুচলেকা দিয়েছিল, ক্ষমতায় আসলে গ্যাস বিক্রি করে দিবে। পরে ক্ষমতায় আসার পরে আমাদের ওপর অত্যাচার করেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দিচ্ছি। বর্তমানে ১০ কোটি মানুষ উপকারভোগী। আমরা মন্দা দূরের জন্য কাজ করেছি। কৃষক ও বর্গাচাষিদের জামানত ছাড়া ঋণ দিচ্ছি। ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ভুর্তকির টাকা আমরা ব্যাংকে পাঠিয়ে দিচ্ছি।’
বরিশালের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বরিশাল ছিল শস্য ভাণ্ডার। সেই সুনাম আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই। আমরা প্রত্যেকটি বিভাগের জন্য মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। বরিশালেও করে দেব। প্রত্যেকটি নদীর ওপর ব্রিজ করে দিচ্ছি। সারা বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ করে পদ্মা সেতু করে দিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘আগে বরিশালে স্টিমারে করে আসতাম। সে সময় ঘোড়ার গাড়িতে উঠতাম। বরিশালের কী কী উন্নয়ন হয়েছে, আপনারাই বলেন। এখানে নৌবাহিনীর ঘাঁটি করেছি। ভোলার গ্যাস সিএনজি করে ঢাকায় আনছি। ভবিষ্যতে বরিশালেও আনব।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বরিশালবাসীকে সুখর দিয়ে বলেন, ‘ভাঙ্গা থেকে বরিশাল এবং কুয়াকাটা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত ছয় লেনের রাস্তা করে দেব। ভূমি অধিগ্রহণ করা শুরু করেছি। এশিয়ান ডেভোলপমেন্ট থেকে অর্থ সংগ্রহ করছি।’ তিনি বলেন, ‘বরিশালে অনেক মামলা হয়। এখানে ডিজিটাল আদালতের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ২০৪১ সালের মধ্যে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। আমাদের সরকার ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।’
নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আপনারা ৭ তারিখে সকাল সকাল ভোটকেন্দ্রে যাবেন। মার্কা কী? নৌকা। নূহ নবীর নৌকা।’