ডেস্ক রিপোর্ট :
শীত জেঁকে বসেছে বরিশালে। জবুথবু ঠান্ডার মধ্যে একটু আরাম পেতে বিভিন্ন জায়গায় আগুন পোহাচ্ছে নগরবাসী। আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে জেলার আবহাওয়া অধিদপ্তরের রেকর্ড করা তাপমাত্রা ১০ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন। এদিকে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপও দিন দিন বাড়ছে। হাড়কাঁপানো শীতে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
জানা গেছে, বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি আছে ধারণক্ষমতার সাত থেকে ১০ গুণ বেশি রোগী। শয্যা সংকট থাকায় রোগীদের মেঝেতে শুইয়ে সেবা দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছে রোগীর স্বজনরা।
বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ এলাকার নদী তীরের বাসিন্দা রিপন জানান, নদীতীর এলাকায় কুয়াশার পাশাপাশি ঠান্ডা বাতাস বইছে। এ কারণে ঘরের মধ্যে টিকে থাকা দায়। আগুন বা রুম হিটার ছাড়া নদী তীরের ঘরে থাকা যায় না।
পথশিশু ইয়াসিন জানায়, দিনরাত তীব্র শীতের মধ্যে টার্মিনালেই থাকছে তারা। এ শীতের মধ্যে সব কাজ বাদ দিয়ে সারা দিন আগুনের পাশে বসে থাকছে।
শিশুদের সুস্থ রাখতে গরম কাপড়ে আবৃত রাখার আহ্বান জানিয়ে শেবাচিম পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেছেন, অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে। নানান সংকটের মধ্যেও সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিতের জন্য শেবাচিম কাজ করছে। স্থান সংকটের কারণে শয্যা কম। তাই বাধ্য হয়ে শিশুদের মেঝেতে বিছানা দিয়ে সেবা দিচ্ছি। ওয়ার্ডে ধারণ ক্ষমতার বেশি রোগী। রোগীর স্বজনরাও প্রতিনিয়ত মেঝে নোংরা করে ফেলে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানান, সকালে দুই নটিক্যাল মাইল বেগে বাতাস বয়ে গেছে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ অনুভব হয়। তবে, এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে না গেলেও শৈত্যপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছে। এমন শীত আগামী তিন থেকে চার দিন অব্যাহত থাকবে। তারপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। বরিশালে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।