ডেস্ক রিপোর্ট :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচন শেখাতে হবে না। এ দেশে ভালো নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেখ হাসিনা চালু করেছেন। এই নির্বাচনে আমরা দেখলাম সরকারি দলের কয়েকজন প্রার্থী বাতিল, শোকজ করা হয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা নতুন দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।
আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের যৌথসভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বহুদেশ নির্বাচিত সরকারকে নিয়ে প্রশংসা করছে। শুধু বাংলাদেশের একটি দল ছাড়া। নির্বাচনে এলে হেরে যাবে এই কারণে বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। এই নির্বাচনকে যারা বয়কট করেছে, তারা অনেক কথা বলেছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হয়েছে। বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করায় নতুন রণকৌশল করতে হয়েছে। তাই এবার সংসদে বড় একটা অংশ স্বতন্ত্রপ্রার্থী। এবার নির্বাচনে ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই নির্বাচনে রণকৌশলের সোনালি ফসল আমরা ঘরে তুলেছি। মোটামুটি সংঘাতমুক্ত হয়েছে নির্বাচন। যারা নির্বাচনে আসেনি তারা অনেক কথাই বলেছে। তারা বলছিল এই নির্বাচন হতে দেবে না। তাদের সেই আস্ফালন এখন কোথায় গেল?’
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকরা ছিলেন। কিন্তু কোনো কিছু বলার মতো দেখেননি। শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে বহু দেশ। সারা দুনিয়া বলছে, একটা ভালো নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে একটা দল প্রশংসা করতে পারে না। কীভাবে এই নির্বাচন বৈধতা পাবে, জিয়াউর রহমানের মতো ‘হ্যাঁ’ ‘না’ ভোট করে; যা করেছিল জিয়াউর রহমান।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেশের গণতন্ত্র আরও দৃঢ় করেছেন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। যার কারণে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থীকেও শোকজ করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটা স্বাধীন কমিশন গঠিত হয়েছে, যা প্রশংসার দাবিদার।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দীসহ অন্যান্য নেতারা।