ডেস্ক রিপোর্ট :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সারাহ কুক।
বৈঠকে ব্রিটিশ হাইকমিশনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নবনিযুক্ত হওয়ায় ড. হাছান মাহমুদের হাতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের শুভেচ্ছা বার্তা তুলে দেন। শুভেচ্ছাপত্রে ডেভিড ক্যামেরন আগামীতে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাজ্য সবসময়ই আমাদের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী এবং বন্ধুরাষ্ট্র। আজও হাইকমিশনারের সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তা, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে আনা, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা, জিডিপিতে করের অনুপাত বৃদ্ধি, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনসহ বহুমাত্রিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে জিডিপিতে ট্যাক্সের অনুপাত অত্যন্ত নিম্ন। উপমহাদেশের মধ্যেও প্রায় সর্বনিম্ন। যেখানে ইউরোপের দেশগুলোর জিডিপিতে ট্যাক্সের অনুপাত প্রায় ৩০ শতাংশ, সেখানে আমাদের এই অনুপাত সম্ভবত ১০ শতাংশেরও কম। এটি কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং তারা সহযোগিতায় প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ আরও জানান, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে শুরু থেকে যুক্তরাজ্য আন্তরিক সহযোগিতা করছে। আজকের বৈঠকেও আমি বলেছি, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করা।
বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে ফেরত আনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার যে কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির শাস্তি কার্যকর করার বিষয়ে বদ্ধপরিকর। তারেক রহমানও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার বিষয়েও সরকার উপযুক্ত সময়ে পদক্ষেপ নেবে।