ডেস্ক রিপোর্ট :
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত নজরদারি ও এ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আগামীকাল শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২৪’ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য-‘স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও সমৃদ্ধি চাই; নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে। জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তেমনি অনিরাপদ খাবার গ্রহণের কারণে দেহে নানাবিধ মরণব্যাধি বাসা বাঁধে।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য ও খাদ্যের পুষ্টিমানের গুরুত্ব অনুধাবন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে জনগণের পুষ্টির স্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনকে রাষ্ট্রের অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও নিরাপদ খাদ্যের জন্য প্রয়োজন খাদ্য উৎপাদনে নিরাপদ প্রযুক্তি ও নিরাপদ খাদ্য উপকরণ ব্যবহার নিশ্চিত করা। এজন্য সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সমন্বয়ে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম আরও বেগবান করা জরুরি। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।’
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে সবার জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ। সরকার জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে নিরাপদ খাদ্যের প্রাপ্তি, চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নসহ ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এসব কর্মসূচির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন জনস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। মেধা ও মননে একটি উৎকর্ষ ও কর্মক্ষম জাতি গঠনে সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করাই হবে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসে সবার অঙ্গীকার।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।’