পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়কমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন ও ব্যবহারের অপরাধে চার বছরে আড়াই হাজার মামলা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় সংসদে এমপি নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট দুই হাজার ৫১৬টি অভিযান পরিচালনা করে চার হাজার ২০৭টি মামলায় ছয় কোটি ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১৭০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই হাজার ৭১ দশমিক ৩৭ মেট্রিক টন পলিথিন, দানা ও কাঁচামাল জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৬টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। জনসচেতনতা বাড়াতে নানাবিধ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে পরিবেশের ওপর প্লাস্টিক পণ্যের বিরূপ প্রভাব নিয়ন্ত্রণে প্লাস্টিক পণ্যের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব পচনশীল প্লাস্টিকের ব্যবহার প্রচলনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সরকার কর্তৃক ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২১-এ মৌলনীতি হিসেবে ফাইভ-আর (রিফিউস, রিডিউস, রিইউস, রিসাইকেল, রিকোভারি) পলিসি নেওয়া হয়েছে। সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ২০২১ সালের বিগত ২১ জুন উপকূলীয় অঞ্চলের ১২ জেলার ৪০টি উপজেলাকে কোস্টাল এরিয়া হিসেবে চিহ্নিত করে ওই এলাকায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। পলিথিনের ক্ষতিকর দিক বিবেচনায় সরকার ইতোমধ্যে পরিবেশ বিনষ্টকারী পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন কার্যের এবং ব্যবহার বন্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫-এ বিধি নিষেধ আরোপ করেছে।