ডেস্ক রিপোর্ট :
নিয়মিত আন্তঃস্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আন্তঃস্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এমনকি আন্তঃউপজেলা ও জেলা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে।’
আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫২তম জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বছরব্যাপী নানা টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হলে তরুণরা শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠবে। যা তাদের সৃজনশীলতা বিকাশে সহায়তা করবে এবং তাদের মনে সমাজ ও দেশের প্রতি ভালবাসা জাগিয়ে তুলবে।’ তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা পরিবারের জন্যও সম্মান এবং মর্যাদা বয়ে আনতে পারবে।’
প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় খেলাগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করতে এবং সেগুলোর ওপর আরও গুরুত্ব দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শারীরিক ব্যায়ামের পাশাপাশি খেলাধুলা মানুষের মধ্যে একতা, বন্ধুত্বের পরিবেশ, প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ ও মানসিক শক্তি তৈরিতে সহায়তা করে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি বাড়তি মনোযোগ দিয়েছে। আমি সব ধরনের খেলাধুলার জন্য মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ের টুর্নামেন্ট চালু করার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর আবেদনে সম্মত হই। দেশের খেলাধুলাকে আরও উন্নত করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিযোগিতায় ছেলেমেয়েরা যাতে সব ধরনের খেলাধুলায় ভালো করতে পারে সেজন্য তাদের নিবিড় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। প্রশিক্ষক তৈরি করা জরুরি। সে লক্ষ্যে আমরা আটটি বিভাগে বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করব এবং ছেলেমেয়েদের খেলাধুলায় আরও দক্ষ করে তুলব।’ তিনি বলেন, ‘সরকার বছরব্যাপী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে।’
রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির যৌথ উদ্যোগে ৭ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সময় রাজশাহীতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।