লাইফস্টাইল ডেস্ক :
প্রচণ্ড গরমে শিশুদের বিভিন্ন ধরনের রোগ বেড়ে যায়। এসব অসুস্থতার মধ্যে রয়েছে জ্বর, ডায়ারিয়া, অবসাদগ্রস্ততা, নাক দিয়ে রক্তপড়া, হিটস্ট্রোকসহ গরমকালীন ফোঁড়া ও গোটার প্রকোপ। সেই সঙ্গে ঘামাচির যন্ত্রণা তো রয়েছেই। গরমজনিত গোটা এবং ঘামাচিতে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়। ত্বক নাজুক হওয়ার কারণেই শিশুদের মধ্যে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয় এবং অতিসংবেদনশীল ত্বকের অধিকারী শিশুদের মধ্যে এ সমস্যা আরো প্রকটভাবে দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন ডা. সজল আশফাক।
গরমকালীন গোটা ও ঘামাচির এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য শিশুদের যতটা সম্ভব ঠান্ডা পরিবেশে রাখতে হবে এবং সম্ভব হলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে রাখতে হবে। সেইসঙ্গে শিশুকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং নিয়মিত গোসল করাতে হবে। গরমে ঘামাচি এড়াতে অনেকে শিশুকে খালি গায়ে রাখেন, এটি ঠিক নয়। খালি গায়ে রাখলে ঘামাচি আরো বেশি হয়। পাতলা সুতির পোশাক পরিয়ে রাখলে তা ঘাম শুষে নিয়ে ত্বক ঘামাচিমুক্ত রাখার চেষ্টা করে। গরমকালীর গোটা মাথায় বেশি দেখা দেয় বলে অনেকেই শিশুর মাথার চুল কামিয়ে ফেলেন। কিন্তু চুল কামানোতে কোনো লাভ হয় না।
গরমকালীন ফোড়ায় আগাম প্রতিরোধ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ইরেথ্রোমাইসিন লোশন। ঘামাচি অনেক সময় বড় আকার হলে তখনো ইরেথ্রোমাইসিন লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ঘামাচি ও গরমকালীন ফোঁড়া আকারে বেশ বড় হয়ে গেলে কিংবা পেকে গেলে তখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করাতে হবে।
শিশুর ঘামাচিতে ক্যালামিলন লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ক্যালামিলন লোশন ব্যবহারের একটি নিয়ম রয়েছে। গোসলের আধা ঘণ্টা আগে ক্যালামিলন লোশন সারা শরীরে লাগাতে হবে এবং গোসল করে সেটি ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে দৈনিক দু’বার করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। ঘামাচির জন্য বহুল ব্যবহৃত প্রিকলি হিট পাউডার ব্যবহারেও উপকার রয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে প্রকৃত প্রিকলি হিট পাউডার খুঁজে নিতে হবে। ঘামাচি প্রতিরোধে প্রিকলি হিট পাউডার কিংবা টেলকম পাউডার বেশ কাজে আসে।
দুঃসহ এই গরম গোটা ও ঘামাচির প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিয়ে ভাবলেই চলবে না। পাশাপাশি শিশুকে প্রচুর পানি ফলের শরবত কিংবা তরল পানীয় পান করাতে হবে। তা না হলে শিশুরা খুব সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়বে।